সন্দেশখালি ইস্যুতে এখন গোটা রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। ঠিক তখনই রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বৈশাখী।
ঠিক কী বলেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়?
বৈশাখী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে মাঝরাতে পিঠে খেতে ইচ্ছে করে। আমি দেখেছি, নাকতলাতে যে মন্ত্রী ছিলেন তাঁর পাঁঠার মাংস খেতে ইচ্ছে হত। আমাকে সরাসরি বলেছিলেন, আচ্ছা বৈশাখী আমি শুনেছি বৈশাখী তুমি সু-রাঁধুনি, তবে আমার জন্য কখনও তো তুমি মটন রেঁধে আনোনি!’ বৈশাখীকে বলতে শোনা যায়, ‘কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে তাঁরা মনে করেন, রাত ১২টা সময় মদ্যপান করতে ডাকার তাঁদের অধিকার আছে। সেই মর্মে প্রস্তাব পাঠান, রাজ্যের মন্ত্রীরা। রাজ্যের মন্ত্রীরা যদি এটা পারে, তাহলে শেখ শাহজাহান অবশ্যই করছে।’
আরও পড়ুন-অনুপমের ৩য়, প্রশ্মিতার ২য়! হবু দম্পতি বিয়েতে পরবেন কী? কোথায় হচ্ছে অনুষ্ঠান?
আরও পড়ুন-সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর ক্ষত মোছেনি! ফের অন্তঃসত্ত্বা প্রয়াত গায়কের মা
হ্য়াঁ, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যখন কথাগুলি বলছিলেন, তখন তাঁর পাশেই বসেছিলেন তাঁর ‘সহবাস সঙ্গী’ শোভন চট্টোপাধ্যায়। যিনি অবশ্য একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন। এদিকে ইতিমধ্যেই বৈশাখীর সাক্ষাৎকারের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে, বিরোধী দল BJP-র নানান সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও এটি উঠে এসেছে। এমনই একটা অংশ উঠে এসেছে BJP4barrackpore-এর ইনস্টাগ্রাম পেজে।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে নিত্যদিনই চর্চায় থাকেন শোভন-বৈশাখী জুটি। তাঁরা আইনত বিবাহিত না হলেও একসঙ্গে এক ছাদের তলাতেই থাকেন। ৯ বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলকে বিয়ে করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁদের সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি। ৯ বছর এক ছাদের তলায় থাকলেও নাকি এক রাতের জন্য শান্তিতে সংসার করতে পারেননি বৈশাখী। ২০২২ সালের এপ্রিলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজিৎ মণ্ডলের বিচ্ছেদে আইনি সিলমোহর দেয় আলিপুর আদালত।
এদিকে ডিভোর্সের আগেই শোভনের সঙ্গে 'যৌথ-যাপন' শুরু করেছিলেন বৈশাখী। শোভন-বান্ধবীর কথায়, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করেও তিনি মনোজিতের সঙ্গে সংসার করেছেন। কিন্তু স্বামী পর-নারীতে আসক্ত তা উপলব্ধি করার পরেই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।