একদিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। অন্যদিকে প্যালেস্তাইনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল।প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ শুরু করার পরেই পালটা নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা শুরু করেছে ইজরায়েল। হামলা চালিয়েছে গাজায়। যাতে হামাস কমান্ডাররা মারা গেলেও মৃত্যু হয়েছে বহু নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের। এখনও সে লড়াই থামার নাম নিচ্ছে না। Free Palestine হ্যাশট্যাগে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন গোটা দুনিয়ার মানুষ। শান্তি স্থাপনের আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। কয়েকশো প্যালেস্তিনীয় নাগরীক মারা যাওয়ায় ইজরায়েলের নিন্দা করছে গোটা বিশ্ব।
প্যালেস্তাইনের ওপর ক্রমাগত হয়ে চলা হামলার প্রতিবাদ করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। দেখছি আর নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি মনে হয়। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাক খাওয়া আগুন। আর সারিবাঁধা তরতাজা লাশ। একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর।’
ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি শিশুর ছবি শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। নিজের জীবন বাঁচাতে নয়। ধংসস্তুপের ঝাঁঝরা ইঁট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো–বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়।’
গত এক সপ্তাহে ইজরায়েলের নির্মম হামলায় প্যালেস্তাইনের ২০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। যার চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি শিশু। রোজ খবরের কাগজ, চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ছে বাচ্চাদের রক্তমাখা মুখ।
শান্তির আবেদন জানিয়ে জয়া লিখেছেন, ‘এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক চিলতে ঘরে ফিরুক। এক জীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?’