বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘আমাদের সমস্যা নিয়ে আপনাদের কী?’ ব্যক্তিগত প্রশ্ন উঠতেই তেড়ে এলেন পরীমনি

‘আমাদের সমস্যা নিয়ে আপনাদের কী?’ ব্যক্তিগত প্রশ্ন উঠতেই তেড়ে এলেন পরীমনি

পরীমনি। (ছবি সৌজন্যে, ফেসবুক @pori.monii)

সদ্য মুক্তি পেয়েছে পরীমণির নতুন ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। সেই সিনেমার প্রেস মিটেই ঘটে এই অবাঞ্ছিত ঘটনা। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রে রে করে তেড়ে এলেন পরীমনি সাংবাদিকদের দিকে।

কাজের থেকে বেশি বিতর্কের জেরে খবরে থাকেন বাংলাদেশের নায়িকা পরীমনি। সেই বিতর্কের রেশ ওপার বাংলা ছাড়িয়ে পৌঁছয় এপারেও। গত মাস থেকে বর শরিফুল রাজের উপরে চাপিয়েছিলেন একগুচ্ছ অভিযোগ। এমনকী, ছেলে রাজ্যকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সোজাসুজি না বললেও, ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন রাজ তাঁর গায়ে হাত তোলে, অন্তত সেরকমই ধারণা হয়েছিল বেশিরভাগের পরীমনির কথা শুনে। 

তবে নাটকীয় মোড় আসে যখন মিডিয়ার সামনে কেঁদে কেঁদে বিচ্ছেদের কথা বলার কদিন পরেই ফের রাজের কাছে ফিরে যান পরীমনি। ঘটা করে পালন করেন বিবাহবার্ষিকী। একতোড়া গোলাপ ফুল হাতে বিশেষ দিনের বিশেষ মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। 

সদ্য মুক্তি পেয়েছে পরীমণির নতুন ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। সেই সিনেমার প্রেস মিটেই ঘটে এই অবাঞ্ছিত ঘটনা। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রে রে করে তেড়ে এলেন পরীমনি সাংবাদিকদের দিকে। রাজ-পরীর টানাপোড়েন কী মিটে গেছে প্রশ্ন করা হলেই জবাব আসে, ‘আমরা এখানে কোনও পারিবারিক আলোচনা করতে আসিনি। আমাদের সমস্যা না থাকলে আপনাদের কী সমস্যা?’ পরীমনির এমন রাগ দেখে সেখানে উপস্থিত সকলে তো বটেই, চমকে গিয়েছিলেন স্বামী রাজও। তারপর তিনিই পরিস্থিতি সামাল দেন। শরিফুল রাজ হাসিমুখে বলে ওঠেন, ‘আমরা তো সব সময় একসঙ্গেই ছিলাম।’

কীভাবে বউয়ের মান ভাঙান এদিন সেটাও খোলসা করেন রাজ। পরীর গালে চুমু খেয়ে জানালেন, এভাবেই সবটা সামলে দেন। নিজেকে সামলে নিয়ে পরীমনিকেও বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ভালো আছি। সুন্দর আছি। সেটা কি আমাদের দেখে বোঝা যাচ্ছে না? আশীর্বাদ করবেন যাতে এভাবেই আমাদের সামনের জীবনটা মসৃণ হয়।’

চলতি মাসেই ফেসবুকে পরীমনি লিখেছিলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। সন্তানের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কী? আসলে এতে আমার বাচ্চাই ভালো থাকবে না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম। রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তনই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারল না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে!’

 

 

বন্ধ করুন