এমনিতেই দুই বউয়ের দড়ি টানাটানি চলে শাকিব খানকে নিয়ে। তারওপর বৃহস্পতিবার থেকে উঠেছে বাংলাদেশের এই অভিনেতার উপরে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ তুলেছেন সেদেশেরই প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তারপর থেকেই দুইপাড় বাংলার মিডিয়া উত্তাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা। বাংলাদেশের মিডিয়া সূত্রে খবর, প্রযোজকের সঙ্গে এক টেবিলে মুখোমুখি বসেছেন শাকিব ইতিমধ্যেই। ঘণ্টাখানেক ধরে নাকি করেছেন আলোচনাও।
কী অভিযোগ উঠেছে শাকিব খানের উপর?
রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, শ্যুটের সময় শাকিবকে নাকি নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হত। আর তা না হলে হোটেলেই যৌনকর্মীদের আনতে হত। কোনও কোনও দিন একাধিকবারও এমন ঘটনা ঘটেত। আর যৌনকর্মীদের পারিশ্রমিক দিত হত প্রযোজকদের। এখানেই শেষ নয়, এক নারী সহ-প্রযোজককেও শাকিব নাকি পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ করেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই নির্যাতিতা সেসময়ই অস্ট্রেলিয়া পুলিসের দারস্থ হয়েছিলেন। সেই নারী বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মহিলা। এমনকী সকলেই যখন নির্যাতিতাকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত তখন শাকিব খান চুপিসারে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে এরপর শাকিব ফের অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছলে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সামাজিক চাপে বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা চুপ ছিলেন, তাই সে যাত্রায় মুক্তি পান শাকিব।
বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে কী ঠিক হয়েছে?
২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর শ্যুটিংয়ে ঘটেছে এত ঘটনা। এসবের জেরে মাঝপথে ছবির কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এদিনের মিটিংয়ে যত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা ফেরত দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শাকিব। তবে রহমত উল্লাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই ছবিটি আর করতে চান না।
এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম। নায়কের উপরে আনা ধর্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে জানান, ‘আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। আবার বসব আমরা। সবাই তো মীমাংসা চান, সে জন্যই আসছেন। সে সব নিয়েই শাকিব কথা বলেছেন। তিনিও একটা সমাধান চান। সে লক্ষ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ এটুকু নিয়েই কথা হয়েছে।’