কেউ বলবে বয়স ৩৫ পেরিয়েছে! নেট-নাগরিকরা তো মনে করেন তাঁকে এখনও কলেজ স্টুডেন্ট হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। ভারত আর বাংলাদেশ-- সমানতালে জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই তাঁর অনুরাগীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন দুইপার বাংলাতেই। তাতে কি আর ট্রোলের হাত থেকে রেহাই মেলে! নেট-মাধ্যমে ছবি দিলেই এসব বোকাবোকা কথার মুখোমুখি হতে হয় জয়া-কে।
রূপের পাশাপাশি পদ্মা-পাড়ের অভিনেত্রী জয়া আহসানের অভিনয় দক্ষতা বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ভারতীয় একধিক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ‘ঈগলের চোখ’, ‘রাজকাহিনী’, ‘বিসর্জন’, ‘দেবী’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’-দিয়ে মন জয় করেছেন বাংলার মানুষের।
এদিন সাদা থ্রি কোয়ার্টার শার্ট আর নীল প্রিন্টেড ডঙ্গরি পরে ছবি দিয়েছিলেন জয়া। সঙ্গে পায়ে সাদা স্নিকার্স। চুল মাথার ওপরে টপ নট করে বাঁধা। মিনিমাল মেকআপের সঙ্গে ডার্ক ব্রাউন রঙের লিপস্টিক পরেছিলেন অভিনেত্রী। আর তাতেই এই কটাক্ষ। এক নেট-নাগরিক লিখেছেন, ‘সিগারেট খাও নাকি! কিঞ্চিৎ কালো ঠোঁট’। প্রসঙ্গত, জয়া এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘চারপাশের নিস্তব্ধতার মাঝে এখনও কেউ কেউ জীবনের শান্তি খুঁজে পায়।’
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ঢাকায় মডেলিং দিয়ে। ২০০৪ সালে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'ব্যাচেলর' ছবি দিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন জয়া। পরবর্তীকালে নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত 'গেরিলা' ছবিতে বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে ২০১২ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান জয়া। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর তো ভারতেও ঘাঁটি গেড়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রায়শই নিজের ছবি পোস্ট করে থাকেন অভিনেত্রী। রোজনামচার টুকটাক তুলে ধরেন সকলের জন্য। ট্রোলারদের পাত্তা দেন না একেবারেই। বিতর্ক-র আঁটও গায়ে মাখেন না। তাই তো, যে কোনও পুরুষ হৃদয় ঝড় তুলতে জয়া আহসান নামটাই যথেষ্ঠ।