হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ খানিকটা দোলাচলে। বিশেষত ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দানের বিষয়টা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি সে দেশের নতুন সরকার। তার প্রভাব বিনোদন জগতেও। ভারত-বাংলাদেশ ভিসা জটিলতার প্রভাব পড়ছে দুই বাংলার ছবিতে।
কাজ আটকে গিয়েছে একাধিক ছবির। ভিসা না পাওয়ার কারণে দেবের নায়িকা হিসাবে কাজ করা হয়নি ফারিণের। পরীমণিও ফেলুবকশি-র ডাবিং-এর কাজে কলকাতায় আসতে পারেননি। উলটো পারেও একই ছবি। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো টলিউড নায়িকাদের ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা দিচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার। চলতি মাসেই বাংলাদেশে গিয়ে সিনেমার শ্যুটিং শুরু করার কথা ছিল ঋতুপর্ণা, স্বস্তিকার।
ঢাকায় এসে শ্যুটিং করার ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনে সাড়া পাচ্ছেন না টলি নায়িকারা, মেলেনি ভিসাও। বাংলাদেশি পরিচালক হিমু আকরামের ‘আলতাবানু জোছনা দেখেনি’ সিনেমাতে লিড চরিত্রে কাজ করছেন স্বস্তিকা, গত সপ্তাহেই সেই ছবির শ্যুটিং শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি। রাশিদ পলাশের পরিচালনায় ‘তরী’ সিনেমার শ্যুটিংয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কিন্তু সেখানেও ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়, আপতত সেটাই দেখার।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থেকেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নতুন সরকার আসার পর স্বস্তিকার কাজই বানচাল হওয়ার জোগাড়।
গত ৫ই অগস্ট গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আসেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ঘটনার তিনদিন পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর থেকে বাংলাদেশে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছে। কিন্তু এই ভিসা জট না কাটলে দুই দেশের চলচ্চিত্রে শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হবে, শঙ্কায় প্রযোজকরা।
আপতত কলকাতায় আন্দোলনরক জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন স্বস্তিকা। অন্যদিকে দেশের বাইরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। চলতি মাসের গোড়ায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।