বাংলাদেশের নাট্য জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় নামের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকেই থাকবে ফারুক আহমেদ। সিনেমাতেও প্রায়শই দেখা যায় তাঁকে। অভিনেতার ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘শান্তি মলম ১০ টাকা’, ‘বাকের খনি’ সহ ৮টির মতো ধারাবাহিক নাটক ওপর বাংলার বিভিন্ন চ্যানেলে বর্তমানে প্রচারিত হচ্ছে। তা এই জনপ্রিয় অভিনেতার জীবনে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা তাঁর ৩০ বছরের কেরিয়ারে এর আগে কখনও হয়নি। রীতিমতো চমকে গেছেন তিনি।
এইমুহূর্তে বাংলাদেশের মধুমতি মডেল টাউনের একটি শ্যুটিং হাউজে শ্যুট করছেন তিনি। সেখানে নতুন একটি নাটকের চিত্রনাট্যটি পড়ে বিস্ময়ে চোখ কপালে ওঠে তাঁর। তাঁর মনে হয় কোথাও হয়ত কোনও ভুলচুক হয়েছে। দ্বিধা তিনি। চিত্রনাট্য নিয়ে আরও এক দফা সারেন তিনি। অভিনেতাকে ফোনের ওপর থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে বলে জানানো হয় চিত্রনাট্যে কোনও গোলমাল নেই। তবু এরপরও বিস্ময়বোধ কাটেনি ফারুক আহমেদের। কারণ, বাকের খনি নাটকের যে শুটিং তিনি করছেন সেখানে তাঁর অভিনীত চরিত্রটির নাম 'বাতেন'। আবার এই একই শ্যুটিং হাউজেই তাঁর আরও একটি নতুন নাটকের শুটিং। সেই নাটকেও তাঁর চরিত্রের নাম বাতেন! দুটি ভিন্ন নাটক অথচ একই জায়গায় শুটিং। দু'টি নাটকেরই তাঁর চরিত্রের এক নাম। অভিনেতার দাবি, এই দুই নাটকের ইউনিটের পরিচালক, লেখক, অভিনেতা কারওর সঙ্গেই কারও তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। তাহলে কী করে ব্যাপারটা সম্ভব? শুধুই কী কাকতালীয়? জনপ্রিয় এই বাংলাদেশী অভিনেতার দাবি, '৩০ বছরের কেরিয়ারে এরকম কাকতালীয় ঘটনার মুখোমুখি হয়নি!'
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে নানান কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে তাঁর জীবনে। অবশ্যই সেগুলো বেশ মজাদার। যেমন কখনও শ্যুটিংয়ে গিয়ে যত এমনি ফাঁকে ফোঁকরে কোনও অভিনেতার কথা মনে পড়েছে তাঁর, হঠাৎ দেখলেন শ্যুটিং স্পটে হাজির হয়েছেন সেই অভিনেতা। আবার কোনও গান হয়ত আপন মনে খুব মৃদু স্বরে কিংবা গুনগুন করে গেয়ে উঠেছেন, এমন সময় পাশ থেকেই অন্য আরও এক ব্যক্তি গেয়ে উঠলেন ঠিক ওই একই গান!
জানিয়ে রাখা ভালো, মূলত হুমায়ুন আহমেদ রচিত নাটকে অভিনয় করেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ফারুক। কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই তাঁর পরিচয় অনেক বেশি জোরালো ওপর বাংলার দর্শকদের কাছে। তবে নিজেকে শুধু কৌতুক অভিনেতা হিসেবে মানতে নারাজ ফারুক। বর্তমানে বিভিন্ন পরিচালক তাঁকে নানান ব্যতিক্রমী নাটক ও সিনেমাতে ডাকছেন, ফলে সেই ব্যাপারে যারপরনাই খুশি তিনি।