২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। প্রচারে নামার পর থেকে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় জেরে নানান সমস্যার থেকে বাতিল হয়ে যায় অভিনেতার ভিসা। যার ফলে আড়াই বছরের বেশি সময় ভারতে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।
ঢাকাই সিনেমা জগতের অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ এপার বাংলায়ও বেশ জনপ্রিয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফেরদৌসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত সরকার। অবশেষে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভারতে আসছেন অভিনেতা। চার দিন পরে দেশে ফিরে যাবেন তিনি। এ যাত্রায় তার সঙ্গে রয়েছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ এবং অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। বুধবার আগরতলার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে পারফর্ম করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসকে। একজন বাংলাদেশের নাগরিক কীভাবে ভারতে এসে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন? এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে।
ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই ফিরদৌসের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। সেই বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে। অবশেষে প্রায় আড়াই বছর পর ফের ভারতে পা রাখছেন ফিরদৌস।
বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেতা ফিরদৌস, খ্যাতি পেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে কলকাতার বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিতে অভিনয় করে। কলকাতায় এই পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০০১ সালে ‘মিট্টি’ নামে বলিউডের একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেন। অবশেষে ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতে আসছেন ফিরদৌস।