ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সমানেই পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর তাঁরই মন্ত্রিসভায় ছিলেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। বাংলাদেশ উত্তপ্ত হতেই সোমবার, ৫ অগস্ট থেকে কোনও খোঁজ নেই ফেরদৌসের। অবশেষে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কী?
আরও পড়ুন: শঙ্খে ফুঁ শুভশ্রীর, মহালয়ার সকালে কোন চ্যানেলে অসুর নিধন করবেন রাজ-ঘরণী?
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ কমিটিতে দেব-প্রসেনজিৎ সহ আর কারা আছেন? প্রথম মিটিং শেষ কী জানালেন ঘাটালের সাংসদ?
কী ঘটেছে?
ছাত্র আন্দোলনের সময়ই ডাক ওঠে যে হাসিনার সরকারের পতন চাই। সোমবারই পদত্যাগ করেছেন তিনি। তারপর বোনের হাত ধরে পালিয়ে এসেছেন ভারতে। তাঁর মন্ত্রিসভার আরও একাধিক মন্ত্রী পালাতে গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এমনকি এদিন বহু আওয়ামী লিগের নেতার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বুধবার ৭ অগস্ট দুপুর পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি আওয়ামী লিগের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৫ অগস্ট মানে সোমবার থেকেই কোনও হদিস নেই অভিনেতা তথা সাংসদ ফেরদৌসের। তিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নির্বাচনে ঢাকা ১০ আসন থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হন।
সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে তিনিও নাকি ওপার বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পর পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অভিনেতাও নাকি ভারতেই এসেছেন। প্রসঙ্গত তিনি একটা সময় এদেশের একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন চুটিয়ে। এই বিপদের সময় তাঁর এই দেশকেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়েছে। যদিও কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন ফেরদৌস মোটেই দেশ ছাড়েননি। বরং তিনি বাংলাদেশে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
বর্তমানে অভিনেতা তাঁর মোবাইল অফ রেখেছেন। গত সপ্তাহে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছে। বিটিভি ভবনে সেই সময় কত কী ক্ষতি হয়েছে সেটা দেখার জন্য তিনি কয়েকজনের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন সবটা সরেজমিনে দেখতে। তারপর আর তাঁকে দেখা যায়নি।
কী ঘটেছে বাংলাদেশে?
গত মাসে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। মাঝে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হলেও ধিকিধিকি জ্বলছিলই। পরে সেটা হাসিনার পদত্যাগ আন্দোলন হয়ে ওঠে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বোনের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর সেদেশের গণ ভবন দখল করে নেয় উত্তাল জনতা। একই সঙ্গে শুরু হয় সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের বাড়ি ভেঙে ফেলা বা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।