কারুর চোখে স্বাধীনতা, কারুর চোখে দুঃস্বপ্ন! জ্বলছে বাংলাদেশ। গণঅভ্যত্থানের পর বাংলাদেশ এখন সেনার দখলে। তবে হিংসা থামছে না। কোটা-বিরোধী আন্দোলনের জেরে অবশেষে গদিচ্যুত শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর ৬ মাস আসন ধরে রাখতে পারলেন না মুজিব-কন্যা। সোমবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। এর মাঝেই খারাপ খবর ওপার বাংলা থেকে।
চাঁদপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল শ্রাবন্তীর বিক্ষোভ ছবির নায়ক শান্ত খানের। চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ‘বালুখেকো’ সেলিম খানের পুত্র তিনি। গণপিটুনিতে এদিন মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের।
শান্তর বাবা বাংলাদেশের নামী প্রযোজক, শাকিব খানের একাধিক ছবির প্রোডিউসার ‘বালুখেকো’ সেলিম খান। শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার তিনি। বছর দুয়েক আগে হাসিনার আওয়ামী লিগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি।
আওয়ামী লিগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন, এই মামলায় জেলেও যান তিনি।
সোমবার চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়েন সেলিম ও তাঁর পুত্র শান্ত। সেখানে পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে সাময়িক প্রাণে বাঁচলেও খানিক দূর যেতেই ফের একদল উত্তপ্ত জনতার মুখে পড়েন দুজনে। চাঁদপুরের বাগাড়া বাজারে জনতার পিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খান।
শান্ত খানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর শ্বশুর এম আই মমিন খান। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা বাবা-ছেলেকে মেরে লাশ রাস্তায় ফেলে রেখেছে তা জানা যায়নি। পুলিশ এই ব্যাপারে খবর পেলেও এখনও জানমালের ভয়ে চাঁদপুরে প্রবেশ করতে পারেনি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ মুহসীন আলম বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাঁদের (সেলিম খান ও শান্ত খান) মৃত্যুর বিষয় আমরা জেনেছি। তবে আমাদের কেউ খবর দেয়নি। আমরা জানমালের নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকার কারণে সেখানে যাইনি।’
শ্রাবন্তীর বিক্ষোভ ছবির নায়ক শান্ত, অন্যদিকে কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রিয়া রে ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও প্রিয়া রে এখনও মুক্তি পায়নি। ২০১৯ সালে উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘প্রেম চোর’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে ডেবিউ হয় শান্ত খানের। সেলিমের প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’–তে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছেলে শান্ত খান।
অন্যদিকে দেব অভিনীত কমান্ডো ছবির প্রযোজক ছিলেন সেলিম খান। মাঝপথেই আটকে যায় এই ছবির কাজ।