বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। ভারতের ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। ফের শোনা যাচ্ছে, ফের একবার এপার বাংলার ছবিতে কাজ করবেন বাঁধন। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে নতুন ছবিতে। প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের অ্যান্থোলজি ফিল্ম ‘ফেয়ার অ্যান্ড আগলি’র একটি গল্পে অভিনয়ের জন্য নাকি বাঁধনের কাছে গিয়েছে প্রস্তাব।
শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে অভিনয় করবেন ‘ফারজি’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-খ্যাত শাকিব আইয়ুব এবং দেবপ্রসাদ হালদার। ছবি করতে নাকি ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। মে মাসের মাঝের দিক থেকেই শুরু হবে ছবির শ্যুটিং। অ্যান্থোলজিতে মোট ৫টি গল্প রয়েছে। বিভিন্ন গল্পে পার্নো মিত্র, সম্রাট, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, মুমতাজ, সায়ন মুন্সিরা শ্যুটিং করেছেন। ইতিমধ্যে নাকি কয়েকটির শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের গুঞ্জনের মাঝে ইনস্টায় ইঙ্গিতবাহী পোস্ট সামান্থার, কী বললেন নায়িকা
সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘হইচই’-এর সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’তে অভিনয় করেছেন বাঁধন। ২০২৩ সালে বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’তে প্রথমবার বলিউডে কাজ করেন অভিনেত্রী। যেখানে তার অভিনয় নজর কাড়ে সবার।
আরও পড়ুন: শরীর করবে হাইড্রেট, গরম থেকে বাঁচতে পান করুন জলজিরা দিয়ে তৈরি এই বিশেষ পানীয়
অন্যদিকে, সদ্য় বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস গড়েছেন আজমেরি হক বাঁধন। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বিচ্ছেদের পর তিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। ২২ এপ্রিল আদালতের নির্দেশই মা হিসাবে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘ওরা চাইত কার্ভি ফিগার..', ৯০-এর দশকের প্রযোজকরা ‘মোটা’ হওয়ার পরামর্শ দিতেন সোনালিকে
বাংলাদেশের ইতিহাসে বাঁধনই একমাত্র মা যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনও কোনও নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি। আদালতের তরফে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রক এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে ওই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দেন।
ছয় বছর আগে যখন সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখন এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি। একটা ব্যতিক্রমী রায় ছিল বলেও জানান তিনি। বাঁধনের এই অধিকার আদায়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন অনেকেই।