বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Pori Moni : নেটের পোশাকে অন্তর্বাস স্পষ্ট, গোলাপের বিছানায় শুয়ে পরীমনি বললেন…

Pori Moni : নেটের পোশাকে অন্তর্বাস স্পষ্ট, গোলাপের বিছানায় শুয়ে পরীমনি বললেন…

পরীমনি

গোলাপ বিছানো কার্পেটে আধশোয়া হয়ে সাদা বিছানায় মাথা রেখেছেন। ঠোঁটে লাগানো লাল লিপস্টিকে ধরা পড়েছে মৃদু হাসি। সম্প্রতি এভাবেই ফের একবার আলোচনায় উঠে এলেন বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরিমনি।

পরনে কালো স্কার্ট, উপরে সাদা নেটের বডিকন টপ, তাতে মুক্ত বসানো। শির টপে স্পষ্ট কালো অর্ন্তবাস, পায়ে সাদা হিল জুতো, মাথার চুল মুক্তোর হেয়ারব্যান্ড দিয়ে বাঁধা, গোলাপ বিছানো কার্পেটে আধশোয়া হয়ে সাদা বিছানায় মাথা রেখেছেন। ঠোঁটে লাগানো লাল লিপস্টিকে ধরা পড়েছে মৃদু হাসি। সম্প্রতি এভাবেই ফের একবার আলোচনায় উঠে এলেন বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরিমনি।

বেশ কয়েকটি এমনই ছবি পোস্ট করে স্বামী শরিফুল রাজের প্রতি ‘পরী’র বার্তা 'আমার একট তুমি আছো'। পাশে লাগিয়েছেন গোলাপের ইমোজি। ঝগড়া-বিবাদ ভুলে সম্প্রতি অভিনেতা স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন পরীমনি। এই ছবিগুলি বিবাহবার্ষিকীর সেলিব্রেশনেই তোলা বলে জানা যায়।

২০২১-এ গুণিন ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে শরিফুল রাজের সঙ্গে আলাপ পরীমনির। মাত্র ৫ দিনের দেখা ও প্রেমেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। ২০২২-এর জানুয়ারিতে নিকাহ হয় রাজ-পরীর। তারপর তাঁদের পরিবারে এসেছে একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। যদিও তারপরেও সম্প্রতি তাঁদের সুখের স্বর্গে ফাটল ধরেছিল।  ২০২৩-এ নতুন বছরের শুরুতেই রাজ-পরীর বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে। ফেসবুকে শাশুড়ি, স্বামীর বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, জানান তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। পরীমনি তবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি রাজের সঙ্গে আর কোনওভাবেই থাকতে পারবেন না, চান না। রাজেরও মোটামুটি এক মন্তব্য ছিল। 

তাহলে কীসের টানে, কোন মায়ায় তাঁরা ফের এক হলেন? আপাতত এই প্রশ্নটাই এখন তাঁদের অনুরাগীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে কারণ যাইহোক না কেন, আপাতত রাজ-পরীর দাম্পত্যে ফের প্রেমের জোয়ার আসায় খুশি অনুরাগীরা। গত ৬ জানুয়ারি পরীমনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, 'গত তিনদিন ধরে আমরা একসঙ্গে থাকছি। ভালো আছি। আমি মা হয়েছি। রাজ্যের জন্য সুন্দর করে বাঁচতে চাই। আমার কাছে রাজ্যই এখন সব।'

তবে পরীমনি একা নন, এই একই বক্তব্য রাজেরও। তিনি বলেন, ' আমাদের সন্তানই বেঁচে থাকার কারণ। তাঁকে ঘিরেই বেঁচে থাকা। আমি যেখানেই থাকি ওর টানেই ফিরতে হবে।'

এদিন তাঁদের দুজনের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে তাঁদের মধ্যে যতই বৈপরীত্য থাক, ঝামেলা, অশান্তি হোক আদতে তাঁদের মধ্যে যোগসূত্র, বা বেঁধে রাখার ব্রিজটা কিন্তু একরত্তি রাজ্য। আর ছোট্ট রাজ্যর জন্যই যে তার বাবা মায়ের সম্পর্ক আবার জোড়া লাগল এটা বুঝত আর কারও বাকি নেই। কিন্তু একবার যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটা যদি আবার তৈরি হয় তখন? এটার উত্তরও অভিনেত্রী নিজেই দিলেন। টান কথায়, 'যদি শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটা না টেকে তাহলে চাইব রাজ যেখানেই থাকুন না কেন, যেন ভালো থাকেন।' তিনি আরও বলেন 'রাজ আমার সন্তানের বাবা, তাঁর দিকে যেন কেউ আঙুল না তোলে।'

বন্ধ করুন