বাংলাদেশের অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী তিনি। তবে শুধু অভিনয় নয়, একা হাতেই মা হিসাবেও দুই সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন পরীমনি। অভিনেতা স্বামী শরিফুল রাজ তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন সে কবেই…। তবু একা মা হয়েও কোনও দায়িত্ব পালনেই খামতি রাখছেন না 'পরী'।
সম্প্রতি নাম না করে স্বামী শরিফুল রাজের উদ্দেশ্যে আরও একবার ক্ষোভ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতৃত্ব নিয়ে লম্বা পোস্ট করেছেন পরীমনি। কী লিখেছেন তিনি?
বাংলাদশের 'পরী' লেখেন, ‘রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু, বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন। তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না..জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না?’
ফের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যালে। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না। একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কী কী করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে……’।
আরও পড়ুন-সদ্য মহা কুম্ভ থেকে ফিরেছেন, জন্মদিনে অপরাজিতাকেই পুজো বান্ধবী সোমার
রাজের প্রতি তোপ দেগে অভিনেত্রী লেখেন, ‘পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড (ব্যাঙের ইমোজি) বাপের মোটেও দরকার নাই অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেয়ার মতন তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর…।’
সবশেষে লেখেন, 'আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো মরেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি !!! ??? ***কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।'
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমনি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ। বছর না গড়তেই তাঁদের কোল আলো করে আসে পুত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ পুণ্য। তবে সন্তান জন্মলাভের পরপরই বিয়েবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এ দম্পতি। ছেলের সব দেখভালের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন অভিনেত্রী। পরে দত্তক নিয়েছেন এক শিশুকন্যাকেও।