অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি টুকরো করা লাশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ঢালিউডে। সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর পাশে দুটি বস্তায় তার দেহের দুটি অংশ পাওয়া যায়। সেই সময় জানা যায়নি পরিচয়, গভীর রাতে আত্মীয়রা দেহটি শানাক্ত করে।
অভিনেত্রীর বোন ফাতেমা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে শ্যুটিংয়ের জন্য বাড়ি থেকে বার হন শিমু, তাঁকে ফোনে না পাওয়া গেলেও শুরুতে সন্দেহ করেনি সন্তানেরা। ভেবেছিল শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত মা। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি ফেরেনি শিমু, বন্ধ ছিল মোবাইল, এরপর ওই দিন রাতে থানায় জেনারেল ডাইরি করা হয় পরিবারের তরফে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হল অভিনেত্রীর দ্বিখণ্ডিত দেহ। ঢাকার গ্রিনরোডে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন শিমু।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, অন্য কোথাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংভাবে খুন করা হয়েছে শিমুকে। এরপর দু-টুকরো দেহ বস্তাবন্দি করে সেতুর পাশে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে অভিনেত্রীকে, তা স্পষ্ট বলছে পুলিশ।
শিমুর সহকর্মীদের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেতা জায়েদ খান খুন করেছে অভিনেত্রীকে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন শিমু। আসন্ন নির্বাচনে ১৮৪ জনের সঙ্গে তার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়, এরপর ইউটিউবে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মৃত অভিনেত্রী। এই বিষয় নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। মিডিয়ার সামন্যে অভিনেত্রী তাহমিনা হোসেন বেবি, ‘একটা সিটের জন্য উনি (জায়েদ খান) সব পারবে’।
জায়েদের দাবি, শিমু হত্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জায়েদের পাশে দাঁড়িয়ে নায়িকার ভাই দাবি করেন, স্বামীই হত্যা করেছে শিমুকে। সোমবার রাতেই এই হত্যা মামলায় পুলিশ আটক করেছে শিমুর স্বামী নোবেলকে, চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
সিনেমার পাশাপাশি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন শিমু। সম্প্রতি ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন শিমু। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'বর্তমান' সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় পথ চলা শুরু শিমুর। এরপর ২৩টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন বছর চল্লিশের এই অভিনেত্রী। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি।