বাংলাদেশের অভিনেত্রীর বস্তাবন্দি দ্বি-খণ্ডিত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নিয়ে গত দু'দিন ধরে তুমুল আলোড়ন উঠেছে সেদেশে। সোমবার দুপুরে ঢাকা কেরানিগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় সেই বস্তাবন্দি মৃতদেহ। শিমুর ভাই অভিযোগ অনেছিলেন, খুন করেছে তাঁর বোনের স্বামীই।
শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলি নোবেল এবং তাঁর বন্ধু ফরহাদকে গতকাল মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সেই সময় জানান, ‘কলাবাগান থেকেই তাদের বাজেযাপ্ত করা হয়েছে৷ হত্যা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যও আমরা পেয়েছি৷’
জানা যাচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন শিমুর স্বামী নোবেল। স্ত্রীকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে কবুল করে নিয়েছে সে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ। শুধু তাই নয় খুনের পর লাশ গুমও করে সে নিজের হাতে। আর একাজে তাঁকে সাহায্য করে বন্ধু ফারহাদ। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান একথা।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে হত্যা করা হয় অভিনেত্রীকে। তারপর একটি গাড়িতে করে তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গুম করার জন্য। সেই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করে ফেলেছে পুলিশ। কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ ছবির মাধ্যমে শিমু অভিনয় কেরিয়ার শুরু। তারপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ২৫টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। সঙ্গে নাটক করতেন। গত কয়েকবছর ধরে একটি বেসকারি টিভি চ্যানেলেও কাজ করছিলেন। শিমুর নিজের একটা প্রোডাকশন হাউজ ছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছেন বাংলাদেশের মানুষ।