প্রয়াত বাংলাদেশের দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ। শুক্রবার এক দুর্ঘটনার পর, দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কবিকে নিয়ে গেলে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
জানা গিয়েছে, শাহবাগের সুপার হোস্টেলের বাথরুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় হেলাল হাফিজকে। দেখা যায়, তিনি বাথরুমে পড়ে আছেন, মাথায় চোট পেয়েছেন। ওই হোস্টেলের আবাসিক বর্ডার শিক্ষার্থী কনক সরকার পড়শি দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হেলাল হাফিজের পাশের রুমেই থাকেন। ৩০ মিনিট ধরে চেষ্টার পর, দেখেন উনি মাটিতে পড়ে আছেন। মাথায় চোট লেগেছে, রক্ত বের হচ্ছে। এরপর সেখানকার কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘পাতাল লোক সিজন ২’ র নতুন পোস্টার দিল অ্যামাজন প্রাইম, ৪ বছরের অপেক্ষার অবশেষে অবাসন!
জানা গিয়েছে, হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। সঙ্গে কিডনির সমস্য, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘যদি লোকানোর চেষ্টা কর, তাহলেই তোমার…’! কাঞ্চন-প্রক্তন পিঙ্কির এহেন বার্তা কেন
১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্ম হয় কবি হেলাল হাফিজের। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতর বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। আর এই একটা বই-ই তাঁকে পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শিখরে। বইটি এখনও পর্যন্ত মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’।
আরও পড়ুন: অনিন্দিতাকে ডিভোর্স, ৪ বছরের মধ্যেই ২য় বউ দেবলীনার সঙ্গেও দূরত্ব? জবাব গৌরবের
কাব্য চর্চার পাশাপাশি দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন। দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের লেখা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ এখনও উচ্চারিত হয় জনগণের মুখেমুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।