গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে উঠে মাতলামি করেছেন নোবেল। সম্প্রতি ওপার বাংলার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ান বাংলাদেশের নোবেল। মঞ্চে নোবেলের কeণ্ডকারখানাায় বেজায় চটে যান উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতারা। তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় জুতো ও বোতল। নেট দুনিয়ায় সেই ছবি উঠে আসার পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। গোটা ঘটনায় হতবাক গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
ঘটনার পর থেকে চুপই ছিলেন গায়ক নোবেল। অবশেষে লাগাতার আক্রমণের মুখে মুখ খুলেছেন গায়ক। ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নোবেল বলেন, ‘স্টেজে ওঠার আগে একটু রিল্যাক্সেশনের জন্য হালকা মদ্যপান দরকার পড়ে। গানের জন্য অনুভূতি আনতেই এটা প্রয়োজন। সেদিন বেশি মদ্যপান করিনি, সামান্যই করেছিলাম। তবে যা ঘটেছে তাতে আমি অনুতপ্ত। হাত জোর করে সকলেের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে এমনটা আর ঘটবে না।’
কী ঘটেছিল?
উপস্থিত দর্শক, শ্রোতাদের দাবি, নোবেলের রাত ৯টা নাগাদ স্টেজে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তিনি প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ১১টা ২০তে গান গাইতে ওঠেন। আর গান গাইতে উঠেই মাতলামি শুরু করেন নোবেল। ফলস্বরূপ দর্শকরা এতটাই চটে যান যেকে জুতো ছুড়তে থাকেন। সেসময় পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ নোবেলকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন। যদিও সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় নেটপাড়ায়। আর তাতেই ওঠে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনার পর মুখ খোলেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এক সময় রোজ নমাজ পড়ত নোবেল। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়তে ভুলত না। এমনকী, সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও ও নমাজ পড়েছে। কী যে কীভাবে এতটা বদলে গেল!…প্রথম থেকে নোবেল তো এমন ছিল না। আমি এই নোবেলকে চিনতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, একসময় সারেগামাপা-র হাত ধরে গায়ক হিসাবে জনপ্রিয়তা পেলেও, পরবর্তী সময়ে একেরপর এক বিতর্ক নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন নোবেল। এখন বাংলাদেশের নোবেল খবরের পাতায় উঠে আসার অর্থই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিতর্ক..।