৯ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানলেন আরিফিন শুভ এবং অর্পিতা সমাদ্দার। বিয়ের সময় লাভ জিহাদ কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছিলেন দুজনে। তবে ভালোবাসার সামনে হার মেনেছিল কাঁটাতার, ধর্মের বেড়াজাল। কিন্তু ফুরালো সেই ভালোবাসার মেয়াদ, তবে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে জানিয়েছেন অভিনেতা।
চারিদিকে বিয়ে ভাঙার হিড়িক লেগেছে। বলিউড, টলিউড পেরিয়ে এবার সেই ভাঙার শব্দ আছড়ে উপর পদ্মার পাড়ে। যিশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য চিড় ধরার খবর নিয়ে হইচই, বিয়ে ভেঙেছে হার্দিক-নাতাশার। এর মাঝেই নিঃশব্দে বিচ্ছেদ হয়ে গেল আরিফিন-অর্পিতার।
এদিন ফেসবুক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ‘আহা রে’ নায়ক। তিনি লেখেন, 'দেশের এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত কোনও কিছু জানাতে যথেষ্ট দ্বিধা ও সংকোচ বোধ করছি। তারপরেও মনে হল আপনাদের বিষয়টা জানানোর সময় এসেছে। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি আর অর্পিতা, আমরা হয়তো বন্ধু হিসাবেই ঠিক আছি। জীবনসঙ্গী হিসাবে নয়। আমরা গত ২০ জুলাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি বন্ধুত্বটুকু নিয়ে দুইজনের সম্মতিতে বাকি জীবন নিজেদের মতো করে বাঁচব।’
শুভর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী অর্পিতার দূরত্বের কথা অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা গিয়েছিল। দাম্পত্য় ভাঙলেও স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ শুভ লিখেছেন, ‘আমার এবং আমার মায়ের জন্য অর্পিতা যা করেছেন সেটার জন্য তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ এবং চিরঋণী। মা চলে যাওয়ার পর জীবনটা একেবারেই শূন্য হয়ে গেছে কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা আমার সঙ্গে আছে যেটা নিয়ে বাকি জীবনটা সুন্দর সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারব।’
২০১৫ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শুভ-অর্পিতার বাগদান হয়েছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি বিয়ের পর সন্ধ্যায় বসেছিল রিসেপশনের আসর। পরে ঢাকায় ফের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দুজনে। আরিফিনকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে মুজিবের বায়োপিকে। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়োন আরিফিন শুভ।