বর্তমানে উত্তপ্ত হয়ে আছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বারংবার অশান্ত হয়ে পড়ছে ওপার বাংলা। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে চলা সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাজত্বে নিপীড়িত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। এবার গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ওপার বাংলার লেখক সলিমুল্লাহ খান।
মহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে কী বললেন সলিমুল্লাহ খান?
ওপার বাংলার অন্যতম প্রখ্যাত লেখক এবং অধ্যাপক হলেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি এদিন নাম না করে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে কটাক্ষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং একই সঙ্গে সেদেশের শিক্ষার অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সলিমুল্লাহ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে মূর্খ লোক দিয়ে চলতে পারে? একটা ইংরেজি শব্দের বাংলা পর্যন্ত বলতে পারে না।'
সলিমুল্লাহ এদিন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, 'আমাদের এই দেশে কোনও উচ্চশিক্ষা নেই। যদিও উচ্চশিক্ষা থাকত তাহলে কি এরম অশিক্ষা বা কুশিক্ষা দেখা যেত? কুশিক্ষার থেকে অবশ্য অশিক্ষা ভালো। বাংলাদেশে যথেষ্ট শিক্ষকের প্রয়োজন আছে। সেই শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। শিক্ষা সর্বজনীন হতে হবে' সলিমুল্লাহ এদিন স্পষ্ট করে দেন শিক্ষার পরিবর্তন আনতে চাইলে আগে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে। তাঁর কথায়, 'অর্থনৈতিক বদল না আনলে শিক্ষায় বদল আনা যাবে না।' বাংলাদেশে যে বর্তমানে ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাত যৌক্তিক সীমায় নেই সেটাও মনে করিয়ে দেন সলিমুল্লাহ খান।
এদিন তিনি নাম না করে ইউনুসকে 'অন্ধ' বলে বিদ্রুপ করেন। বলেন, ‘আমাদের মতো হাজার হাজার অন্ধকে পথ দেখাচ্ছে একটা অন্ধ। আর আমরা সবাই গর্তে পড়ছি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বজিতের কোলে বসা একরত্তি কিন্তু টলিউড-বলিউড কাঁপাচ্ছে, দেখুন তো চিনতে পারছেন অভিনেতাকে?
বাংলাদেশে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন নিয়ে কী অভিমত সলিমুল্লাহ খানের? তবে মতে অবৈতনিক পঠন পাঠন হওয়া দরকার স্কুলে। অন্তত ১২ বছর পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক বাংলাদেশে, আর এই শিক্ষা অবৈতনিক হওয়া প্রয়োজনীয় বলেই মত তাঁর। সলিমুল্লাহর কথায়, 'চাকরিই কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিতভয়। কতটুকু শিক্ষা পেলে একজন মানুষ কাজ করার যোগ্য হবে?'