একটি গাড়ি উপহার পেলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলম। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক এম মখলিছুর রহমান গাড়িটি উপহার দিয়েছেন তাঁকে। সদ্য বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে বাংলাদেশের উপনির্বাচনে লড়ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যদিও ভোটে পরাজিত হন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ হবিগঞ্জে এসে তাঁর উপহারের গাড়িটি গ্রহণ করেছেন হিরো আলম। তবে উপহার গ্রহণের পর তিনি ঘোষণা করেছেন, গাড়িটি তিনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করবেন না; বরং অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করবেন। উল্লেখ্য, উপনির্বাচনের এক দিন আগে ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত গাড়িটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেন ওই শিক্ষক।
এ দিন গাড়িটি উপহার হিসেবে গ্রহণের পর হিরো আলম বলেছেন, ‘আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ উপহারের ঘোষণায় মন দিতে পারিনি। পরে মখলিছুর রহমান আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আমি তা বিশ্বাস করতে পারিনি, তিনি সত্যিই এ গাড়ি উপহার দেবেন। ফেসবুকে দেখেছি, অনেকেই তাঁর এই ঘোষণায় তাঁকে (মখলিছুরকে) গালিগালাজ করছেন। যে কারণে আমি তা (গাড়ি) নিতে চাইনি। পরে দেখলাম, আমার দেশ-বিদেশের অনেক বন্ধু ফোন করে অনুরোধ করেন, কেউ কিছু উপহার দিলে তা গ্রহণ করতে হয়। তাঁদের অনুরোধে আজ হবিগঞ্জে আসা'।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিক সিদ্ধার্থকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানালেন আলিয়া, SOTY-র সহ অভিনেতাকে শুভচ্ছা বরুণের
জনপ্রিয় ইউটিউবার আরও বলেছেন, ‘মখলিছুর রহমান যে গাড়ি আমাকে উপহার দিয়েছেন, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করব না। ভালোবাসার দান ভালোবাসার মধ্যে থাকবে, তা অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কারণ, এ দেশের অনেক মানুষ আছেন, চিকিৎসা গ্রহণ করতে গিয়ে আর্থিক সংকটে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারেন না’।
তিনি আরও বলেন, অনেক গরিব, অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে না। হাসপাতালে নিতে পারেন না। তাদের সেবার জন্য গাড়িটি ব্যবহৃত হবে। গাড়িতে নম্বর থাকবে। কেউ ফোন দিলেই দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। উল্লেখ্য, হিরো আলম বগুড়া-৬ আসনে হারালেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।
এম মখলিছুর রহমান ওপার বাংলার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। গাড়িটি উপহার হিসেবে হিরো আলমকে দেওয়ার কথা বললেও, এই বিষয়টি প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি হিরো আলম। যোগাযোগও করেননি। কয়েক দিন পর আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে ভিডিও দেন এম মখলিছুর রহমান নামের ওই শিক্ষক। এরপর যোগাযোগ করেন হিরো আলম।