নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ফরাসি সিনেমায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে ‘অবমাননাকর একটি সংলাপে’ আপত্তি জানিয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলেছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আন্তর্জাতিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থিওডোর অ্যান্থনি সারান্ডোসকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন৷
গত ৩০ জুলাই ডেভিড শ্যারন পরিচালিত ‘দ্য লাস্ট মার্সেনারি' সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়৷ সিনেমার একটি সংলাপের ইংরেজি সাবটাইটেল ছিল এরকম, ‘ইয়েস, বুলেটপ্রুফ টাক্সেডো, মেইড ইন ফ্রান্স৷ আই উড বি ডেড ইফ ইট ওয়্যার বাংলাদেশ৷'বাংলায় যার মানে দাঁড়ায়, 'হ্যাঁ, এটা বুলেটপ্রুফ টাক্সেডো ফ্রান্সে তৈরি৷ এটা বাংলাদেশে তৈরি হয়ে থাকলে আমি হয়ত মরেই যেতাম৷
বিজিএমইএ সভাপতি নেটফ্লিক্সের কর্মকর্তাকে লেখা চিঠিতে বলেন, 'এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রমের প্রতি অবমাননার শামিল৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের ১৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে৷' ‘এ ধরনের মন্তব্য শুধু বাংলাদেশি পোশাক কারখানাগুলোর জন্যই অবমাননাকর নয়, বরং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার প্রতিও এক ধরনের অবজ্ঞা৷' চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারকদের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে৷ আমি এ বিষয়ে অতি দ্রুত আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অবমাননাকর বক্তব্যগুলি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি৷’
সংলাপটি সরিয়ে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সিনেমাটির প্রচার বন্ধ রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে৷ চিঠির অনুলিপি নেটফ্লিক্সের পাশাপাশি পরিচালক ডেভিড শ্যারন, ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকেও দেওয়া হয়েছে৷ ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের কাছে পাঠানো আরেকটি চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘যখন বাংলাদেশের পোশাক খাত এথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছেছে এবং পরিবেশবান্ধব ম্যানুফেকচারিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য হতবাক এবং ব্যথিত করেছে আমাদের৷’ রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে বিজিএমইএর এই বক্তব্য ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে' পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান৷