যদুবাবুর টিউশানি আর ঘোঁতনের দুষ্টুমিতে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। ‘বাঁকুড়া মিমস’-এর অনুরাগীর সংখ্য়া আকাশ ছোঁয়া। ফেসবুকের জনপ্রিয় পেজ থেকে ধীরে ধীরে ইউটিউবে সফর। মানুষের ঠোঁটে হাসি বার বারই হাসি ফুটিয়ে এসেছে ‘বাঁকুড়া মিমস’। নেটপাড়ার যদুবাবু কিংবা ঘোঁতনের পুজোর দিনগুলি কেমন কাটে? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই খোঁজ নিতেই ফোনে ধরেছিলেন উন্মেষ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে।
বাঁকুড়ার ছেলে উন্মেষ। তাই পুজোটা নিজের শহরেই কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। এ বছরের পুজোর কী প্ল্যান? জনপ্রিয় এই ইউটিউবার জানিয়েছেন, একান্নবর্তী পরিবার তাঁদের। তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরেরও পুজো কাটাতে চান পরিবারে সঙ্গে। জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর্বও চলবে। পাবলোর (পোষ্য সারমেয়) সঙ্গে সময় কাটাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অষ্টমীর সকাল থেকে উপোস থাকা, তারপর বাড়ির ঠাকুর ঘরে ঘরোয়া আয়োজনে সব ব্যবস্থা। অঞ্জলিটা বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই দেন নেটিজেনের প্রিয় ঘোঁতন। এই পুজোতে জীবনের বিশেষ মানুষটির সঙ্গে সমান ভাবে সময় কাটানোর প্ল্যান রয়েছে তাঁর।
ছেলেবেলায় পুজোর বেশিরভাগ সময়টা খেলার মাঠেই কাটত উন্মেষের। ওই চার-পাঁচ দিনের ছুটিটা যেন সেরা মুহূর্ত ছিল তাঁর কাছে। এমনও হত, পুজোর নতুন পোশাক পরেই সকাল সকাল মাঠে ক্রিকেট খেলতে ছুটতেন।
উন্মেষের কাছে পুজো মানেই বাড়িতে থাকা। বাঁকুড়ায় থাকা। বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটানো। বাড়ির সকলের সঙ্গে একদিন রাত জেগে ঠাকুর দেখার প্ল্যান থাকে। ধীরে ধীরে বাঁকুড়ায় থিমের পুজো বাড়ছে। তাই সেগুলি ঘুরে দেখাটাও সকলের সঙ্গে আনন্দের।
অঞ্জলি দিয়ে মা দুর্গার কাছে কী চাইবেন? খানিক হাসতে হাসতেই উন্মেষ জানিয়েছেন, ‘চাইব, তাড়াতাড়ি যেন এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার হয়ে যায়। আর চাইব, পুজোয় বাড়ি থেকে যারা দূরে থাকে, চেষ্টা করে যেন ছুটি পেয়ে বাড়ি আসতে পারে। যারা দূরে থাকে তারা যেন মন খারাপ না করে। আসলে আমিও যখন বাইরে থাকতাম, তাই এই বিষয়টা আমি খুব বুঝতে পারি।’