বরখা-র গালে চুমু এঁকে দিচ্ছেন করণবীর মেহরা। Bigg Boss-18 জেতার পর এমনই একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী বরখা বিস্ত। আর এই ছবি দেখার পর থেকেই অনেকের প্রশ্ন ব্যাপারটা কী? তবে কি বরখা এবার করণবীরের প্রেমে পড়লেন নাকি? ঠিক কী লিখেছেন বরখা বিস্ত?
বরখা করণের সঙ্গে এই আদুরে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আসলে বিজয়ীই সব কিছু বলে দেয় ..... কয়েক মাস ধরে এমন একটা জায়গায় ছিলে যেখানে সবাই তোমাকে ছোট করার চেষ্টা করেছে। তবে তুমি আগের চেয়েও আরও শক্তিশালী, ভালো এবং ইতিবাচক হয়ে উঠেছো। আর এটা ঠিক সেই পুরনো মেহরা... তোমাকে আবার সেরা জায়গায় যেতে দেখে খুব খুশি হলাম করণবীর মেহরা।’
Bigboss-18 জেতার পর পুরনো বন্ধু করণকে ট্যাগ করেই কথাগুলি লিখেছেন বরখা। তবে নাহ। এখানেই কোনও প্রেমের গল্প নেই। করণবীর-বরখার পরিচিতি, বন্ধুত্ব বহু পুরনো।
আরও পড়ুন-'বড় ভুল করতে চলেছ', কে বলেছিলেন? অমিতাভের কোন সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি বাড়ির লোকজন
প্রসঙ্গত ব্যক্তিগত জীবনে বরখা অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে গত ৪ বছর ধরে আলাদা থাকলেও আইনত এখন ডিভোর্স হয়নি তাঁদের। ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্য ভেঙেছে বরখার। শোনা যায়, এই ভাঙনের পিছনে রয়েছেন নাকি টলিপাড়ার অভিনেত্রী ইশা সাহা। যদিও এবিষয়ে স্পষ্ট করে কখনওই কিছু বলেননি বরখা কিংবা ইন্দ্রনীল। সম্প্রতি আবার বরখার সঙ্গেও নাম জুড়েছে আশিস শর্মার। গত ২৮ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিন পাটায়াতে নিজের পরিবার ও আশিস শর্মার সঙ্গে দেখা যায় বরখাকে। তবে সত্যিই কি প্রেম করছেন ইন্দ্রনীলের বউ? (আইনত এখনও স্ত্রী)
সম্প্রতি এইসময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরখা বলেন, তিনি ভীষণভাবে চেয়েছিলেন বিয়েটা বাঁচাতে। তবে ডিভোর্স চেয়েছিলেন ইন্দ্রনীল। তিনি আর জোর করে স্বামীকে আটকে রাখার চেষ্টা করেননি। বরং, ইন্দ্রনীলের ইচ্ছেটাকেই সম্মান দিয়েছেন। তবে আবার প্রেম নিয়ে বরখার সাফ বক্তব্য, ‘আমার মেয়ে বলে দিয়েছে আর প্রেম বা বিয়ে না করতে। ও কথা দিয়েছে, সারা জীবন আমার পাশে থাকবে।’ সত্যি তো মায়ের কাছে, মেয়ের থেকে বড় জীবনসঙ্গী আর কেই বা হতে পারে!'
এদিকে বিচ্ছেদ নিয়ে ইন্দ্রনীলের বক্তব্য ছিল, ‘আমি ভীষণ বোরিং। তাই আমি যদি জীবনে কোনো বদল আনি, তাহলে বুঝতে হবে এর পিছনে বড় কোনো কারণ আছে। এত কষ্ট করে, আমার স্বভাবের থেকে আলাদা ভাবে হাঁটছি যখন, তখন তা আর শুধু শুধু হতে পারে না। এত কষ্ট কেন সহ্য করব আমি! আমার বাবা-মা খুব বয়ষ্ক। তাঁরা রোজ কষ্ট পাচ্ছেন। আর এখন এটা আদালতে। দিন দিন নোংরা হচ্ছে, আরও নোংরা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, শান্তি পাওয়ার অ্যতম রাস্তা হল যুদ্ধ।’