টলিউডে যেন এখন সম্পর্ক ভাঙার জোয়ার লেগেছে। একের পর এক তারকার বিচ্ছেদ নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত আমজনতা। দীর্ঘ সময়ের বিয়ে, সন্তান ছেড়ে ‘পরকীয়া’র খবর যেন ভয় পাইয়ে দিচ্ছে সকলকে। এই তালিকায় রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্তও। ২০২২ সাল নাগাদ তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার খবর এসেছিল। অফিসিয়ালি ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন বর্তমানে দুজনেই। সেই সময় খবর ছিল, ইন্দ্রনীল আর বরখার ১৩ বছরের দাম্পত্য ভেঙেছিল ইশা সাহার কারণে।
সেভাবে বিচ্ছেদ নিয়ে কখনোই কথা বলেননি বরখা বা ইন্দ্রনীল। তবে সম্প্রতি খুললেন মুখ। লকডাউনের সময় ‘চলতি রহে জিন্দেগি’ নামের একটি ছবিতে কাজ করেছিলেন বরখা ও ইন্দ্রনীল একসঙ্গে। সেই সিনেমায় প্রথমবার কাজ করেন, তাঁদের ছোট্ট মেয়ে মাইরা। একই সোস্যাইটিতে থাকা ৩টি পরিবারের গল্প বলবে এই সিনেমা। মুক্তি পাবে খুব জলদি।
আরও পড়ুন: একাধিক অপারেশনের পর জাহ্নবীর এই মুখ? হঠাৎই যা ফাঁস করলেন এই প্লাস্টিক সার্জেন
আর এই ছবির প্রচারের সময়ই খোলাখুলিভাবে নিজের মনের কথা উজার করলেন বরখা। স্পষ্ট জানালেন, ২০২০ সাল নাগাদ এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীনও তাঁদের মধ্যে সব ঠিক ছিল। তাহলে, ইশার এন্ট্রি কবে? শোনা যায়, ২০২১ সালের সিনেমা তরুলতার ভূত-এ একসঙ্গে কাজ করার সময়তেই কাছাকাছি আসেন ইশা ও ইন্দ্রনীল।
বরখাকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা ২০২০ সালের লকডাউনের সময় এই ছবির শ্যুট করি। তখন আমাদের বিবাহিত জীবন ছিল আনন্দে পরিপূর্ণ। আমাদের কিছু করার ছিল না। সব ঠিক হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। সেই সময় পরিচালক আরতি এস বাগদি এই সিনেমার প্রস্তাব নিয়ে আসেন। একটি হাউজিং সোসাইটিতে থাকা ৩ মহিলার গল্প। আমার চরিত্র হল এক সিঙ্গেল মাদারের, যার স্বামী তাকে ঠকিয়েছে। আর ইন্দ্রনীলের চরিত্রটা হল এই একই বিল্ডিংয়ে থাকা এক পুরুষের, সেও স্ত্রীর থেকে আলাদা।’
‘এই সিনেমা শেষ হওয়ার পর, ২০২২ সাল নাগাদ আমরা আলাদা হই। তবে এই কাজের অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ ছিল।’, আরও বললেন বরখা।
যদিও ইন্দ্রনীল বা বরখা কেউই সম্পর্ক ভাঙার কারণ স্পষ্ট করেননি এখনও। গোটা ব্যাপারে পুরোটা সময় চুপ থেকেছেন ইশা সাহা নিজেও। আপাতত ইন্দ্রনীল আর বরখার মেয়ে থাকছে মায়ের সঙ্গেই। তবে মাঝেমধ্যেই বাবা আর মেয়ের আউটিংয়ের ছবি সামনে আসে। রেস্তোরাঁ হপিং করতে দেখা যায় ইন্দ্রনীলকে মেয়ে নিয়ে।