হিন্দি ছবির ইতিহাসে 'শোলে'-র অবস্থান নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। মুক্তির ৪৫ বছর পরেও এখনও এই কালজয়ী ছবির আবেদন রয়েছে ঠিক আগের মতোই। ছবির গল্প, ঠাসবুনোট চিত্রনাট্য, সংলাপ, গান, অভিনয় সবকটি বিভাগে এতটাই সসম্মানে যেভাবে উতরেছিল এই ছবি,যার নজির বিরল। 'শোলে'-তে সবকিছু ছাপিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল 'জয়, বীরু' তথা অমিতাভ-ধর্মেন্দ্রর অভিনয় এবং রসায়ন। তবে জানেন কি 'জয়'-এর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল শত্রুঘ্ন সিনহার। প্রস্তাবও চলে গেছিল তাঁর কাছে। শেষপর্যন্ত ধর্মেন্দ্রর সুপারিশে 'শোলে'-তে সুযোগ পান অমিতাভ। তৈরি হয় ইতিহাস।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন ধর্মেন্দ্রও। তবে পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন যে ওঁর আগে যেহেতু 'শোলে'-র এই বিষয়ে প্রকাশ্যে অমিতাভ কথা বলেছেন এবং তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাই তিনি এই ব্যাপারে কথা বলছেন। ২০১৮ সালে ছোটপর্দার জনপ্রিয় শো 'আপ কী আদালত'-এর একটি পর্বে সঞ্চালক রজত শর্মা যখন ধর্মেন্দ্রকে জিজ্ঞেস করেন 'শোলে'-তে এই 'কাজ পাইয়ে' দেওয়ার ঘটনাটি কতদূর সত্যি, সেই প্রশ্নের পাল্টা জবাবেই মুখ খোলেন 'বীরু'। 'এই ব্যাপারে আমি কখনওই কোনওদিন প্রকাশ্যে কিছু বলিনি। কিন্তু যেহেতু অমিতাভ প্রকাশ্যে তা নিয়ে কথাবার্তা বলেছে তাই আমি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছি। হ্যাঁ, অমিতকে এই ছবিতে কাজ পেতে সাহায্য করেছিলাম। ও আমার কাছে আসতো, অনুরোধও করেছিল। তাই... তবে অমিতাভের সঙ্গে যেহেতু আগেও কাজ করেছি তাই ওঁর অভিনয় দক্ষতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলাম। তবে আদতে এই 'জয়' সাজার কথা ছিল শত্রুঘ্নের', সোজাসুজি জানিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
'বীরু' আরও বলেন যে পরে শত্রুঘ্ন তাঁকে জিজ্ঞেসও করেছিলেন প্রায় কৈফিয়ত চাওয়ার সুরে যে কেন অমিতাভের হয়ে তদ্বির করতে গেলেন ধর্মেন্দ্র? সে জবাবও দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত নিজেই। ' আমি ঠিক বলতে পারব না। অত তলিয়ে দেখিনি। ছেলেটা ভালো। এলো আমার কাছে ,অনুরোধ করল। ব্যাস! আমিও ভাবলাম বেচারাকে কাজটা পাইয়েই দি।'
অন্যদিকে 'শোলে'-র পরিচালক রমেশ সিপ্পি এর আগে অমিতাভের কাজ দেখেছেন পর্দায়। তার ওপর ধর্মেন্দ্রর মতো এতবড় তারকার অনুরোধ, সবমিলিয়ে শিকে ছিঁড়েছিল অমিতাভের মাথাতেই। এ ব্যাপারে শত্রুঘ্ন অবশ্য জানিয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে তাঁর ডেট সমস্যা চলার দরুণ এই ছবির প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।