দেশে ফিরছেন মমতা কুলকার্নি। এর আগে বিতর্কে জড়িয়ে ২৫ বছর দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। এবার সেই জট কাটায় ফিরছেন তিনি। তবে তিনি একা নন, এর আগেও বহু অভিনেত্রী জড়িয়েছেন বিতর্কে। রইল মমতা কুলকার্নি-সহ তেমনই কয়েক জনের নামের তালিক।
১. মোনিকা বেদী
মামলা: পাসপোর্ট জালিয়াতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমের সাথে যোগসূত্র।
ফলাফল: তিনি কারাবাস করেছেন এবং পরে মুক্তি পান।
২. শ্বেতা বসু প্রসাদ
মামলা: ২০১৪ সালে দেহব্যবসা চক্রে তাঁর নাম জড়ায়। অভিনয় জগৎ থেকে দূরে চলে যান তিনি।
ফলাফল: তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পরে তাঁর কেরিয়ারে ফিরে আসেন।
৩. রিয়া চক্রবর্তী
মামলা: ২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় রিয়ার নাম উঠে আসে।
ফলাফল: তাঁকে কিছু সময়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তদন্ত এখনও চলছে।
৪. মমতা কুলকার্নি
মামলা: ২০১৬ সালে একটি বিশাল মাদক চক্রের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায় এবং তাঁর সঙ্গী ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ ওঠে।
ফলাফল: তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত চলছে।
৫. মারিয়া সুসাইরাজ
মামলা: ২০০৮ সালে টিভি এক্সিকিউটিভ নীরজ গ্রোভার হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।
ফলাফল: তিনি প্রমাণ লোপাটের জন্য সাজা পান কিন্তু খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পান।
৬. প্রীতি জৈন
মামলা: পরিচালক মধুর ভান্ডারকারকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ফলাফল: ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭. শ্রী রেড্ডি
মামলা: তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন।
ফলাফল: তার অভিযোগ বড় আলোচনার জন্ম দেয়, তবে তার কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য আইনি ঝামেলায় পড়েন।
৮. সঞ্জন গলরানি
মামলা: ২০২০ সালে স্যান্ডালউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে মাদক মামলায় তার নাম জড়ায়।
ফলাফল: তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তদন্ত চলতে থাকে।
৯. ভাবনা মেনন
মামলা: তিনি কেরালার একটি উচ্চ-প্রোফাইল যৌন হয়রানি মামলার শিকার হন।
ফলাফল: এই মামলাটি তার বিরুদ্ধে নয়, বরং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের উপর কেন্দ্রিত।
এই প্রতিটি ঘটনা নিয়ে নানা মত এভং বিরুদ্ধ মত রয়েছে। বেশ কয়েকটি এখনও আদালতের বিচারাধিন। আগামী দিনে এই সব মামলার ফলাফল প্রকাশিত হলে জানা যাবে, এঁদের মধ্যে কত জন দোষী আর কত জন নির্দোষ।