২২ জানুয়ারি অবশেষে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায়। অযোধ্যায় রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ভারত জুড়ে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারী অফিস হাফ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি থাকছে কিছু স্কুল ও কলেজেও। ইতিমধ্যেই সেই পূণ্যভূমিতে পৌঁছে গিয়েছেন বহু তারকা। সেখানকার ছবি-ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এসবের মাঝেই একটি গান চোখে পড়ল যা হল ‘রাম আয়েঙ্গে তো অঙ্গনা সাজাউঙ্গি’। যা কিংবদন্তি শিল্পী লতার গলায়। অনেকেই ভাবছেন, তাহলে কি আগে থেকেই গানটি রেকর্ড করে গিয়েছিলেন প্রয়াত গায়িকা!
আসলে গানটিকে তৈরি করা হয়েছে AI টেকনোলজি ব্যবহার করে। তাঁর মৃত্যুর পরেও তাঁর সুরকে স্মরণ করা হয়েছে এই বিশেষ দিনে। ‘ভারতের নাইটিঙ্গেল’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। লতা সমকক্ষ গায়ক হয়তো কোনওদিনই আসবে না ভারতবাসীর কাছে। আর তাই আর্চিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সে-র এই ‘কারচুপি’ নেহাত মন্দ লাগল না কারও।
‘রাম আয়েঙ্গে তো অঙ্গনা সাজাউঙ্গি, দ্বীপ জ্বালাকে দিওয়ালি ম্যায় মানাউঙ্গি’ শুনে তাই চোখে জল এসেছে অনেকেরই। একজন নেট-নাগরিক মন্তব্য সেকশনে লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্য, দেশের এই বিশেষ দিন দেখে যেতে পারলে না লতা! ওঁ নিজে যদি এই গানটা গাইত কতই না মধুর হত তা!’ আরেকজন লিখলেন, ‘চোখে জল এল। কোনও গানে মধু ঢালার ক্ষমতা হয়ত শুধু লতা দিদিরই রয়েছে।’
শুনে নিন সেই গান-
আরেকজন লতার কণ্ঠে গানটি শুনে লিখলেন, ‘এই প্রথম এআই-এর করা কোনও কাজ প্রশংসার মতো মনে হল।’ তবে অপরজনের মত, ‘ভারতীয় গায়কদের গলায় যে সুর থাকে, যে পরম মমতা থাকে, তা কোনওদিন করতে পারবে না AI। ওয়েস্টার্ন পপ মিউজিকে হয়তো বেশি কাজে লাগবে এই প্রযুক্তি।’
জানা গিয়েছে, বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। হাজার বছরের বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে এটি। ঝড়-জল-ভূমিকম্প কোনও ক্ষতি করতে পারবে না রামের এই মন্দিরের। ২.৭ একর জায়গা জুড়ে অযোধ্যার রামমন্দিরের বিস্তার। মূল মন্দিরের আয়তনই ৫৭ হাজার স্কোয়্যার ফুট। তিনটি তলে বিভক্ত মন্দিরটি। সিমেন্ট বা লোহা বা স্টিল, কিছুই ব্যবহৃত হয়নি রামমমন্দির নির্মানে। সেই জায়গায় গ্রানাইট, চুনাপাথর, শ্বেতপাথর কাজে লাগানো হয়েছে। সরযূপাড়ে গত কয়েকদিন ধরেই সাজো সাজো রব। আর আজ তো ভারতবাসীর মন ভরে উঠেছে ভক্তির আনন্দে।