কোনও এক আশ্চর্য জাদুকাঠি রয়েছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাতে। না হলে এই পরিচালক জুটির সব ছবিই বাঙালি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায় কী করে? এই জটিল প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে তাঁদের বহু সহকর্মী-বন্ধু, তবে সেই সিক্রেটটা অজানা।
দক্ষিণী ছবির দাপট সামলেও বক্স অফিসে হিট 'বেলাশুরু'। ৫০দিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছে এই বাংলা ছবি। আর সেই সাফল্যের সেলিব্রেশন শুক্রবার হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমাহলে। সাফল্যের আনন্দ উৎযাপনে টিম ‘বেলাশুরু’ জড়ো হয়েছিল এই প্রেক্ষাগৃহে। কেক কেটে, মিষ্টিমুখ করে চলল সেলিব্রেশন।
কিছুদিন আগেই ভয়ানক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন পরিচালক নন্দিতা রায়। এখনও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তবে তাতে কী? সাফল্যের এই দিনে হাসিমুখে সামিল তিনি। ছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী দত্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা। দেখা মিলল সংগীত শিল্পী ইমনেরও।
পরিচালক নন্দিতা রায় এদিন বললেন,'বেলাশুরু-কে ঘিরে মানুষের এত আবেগ, উচ্ছ্বাসে আমরা আল্পুত।অনেক অপেক্ষার পরে এই ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। আমরা চাই এই ছবিটা প্রেক্ষাগৃহে ১০০ দিন চলুক। সেই উদযাপনও এভাবেই করতে চাই।'
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলাশুরু’ মন ছুঁয়েছে সব বয়সী দর্শকদের। ‘টাপাটিনি’র তালে নাচছে গোটা বাংলা। জয়ের চওড়া হাসি মুখে নিয়ে শিবপ্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘আমরা ২ বছর অপেক্ষা করেছি এই ছবির মুক্তির জন্য। আর ছবি মুক্তির পর দর্শকদের থেকে এই ভালোবাসা পেয়ে আমরা মুগ্ধ।’
প্রযোজনা সংস্থার তরফে পাওয়া তথ্যানুসারে, মুক্তির পর প্রথম ১৪ দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি দেখে দেখেছিলেন ৪ লক্ষ দর্শক। 'বেলাশুরু' করোনা পরিস্থিতির পরে বাঙালি দর্শককে হলমুখী করেছে এমনটা বলাই যায়।