করোনা আবহে জেরবার দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবার পর চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশের নানান জায়গা খুলেছে সিনেমা হল, যদিও মহারাষ্ট্রে এখন তালাবন্ধ সিনেমা হল। তা সত্ত্বেও গত ১৯শে অগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘বেল বটম’। দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে কঠিন পরিস্থিতিতেও ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন অক্ষয় কুমারের ‘বেল বটম’ ছবির প্রযোজকরা। নিরাশ করেননি দর্শকও। মুক্তির প্রথম দিনই ৩ কোটি টাকা কালেকশন করে নেয় এই ছবি, শুক্রবার ‘বেল বটম’ দেশের বক্স অফিসে ঝুলিতে পুরেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা, যার জেরে দু-দিনে এই ছবির কালেকশন দাঁড়াবে পাঁচ কোটির বেশি।
সমালোচকদের তরফেও প্রশংসিত হয়েছে এই স্পাই থ্রিলার। দর্শকরাও পছন্দ করছেন এই ছবি। বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দিন বেল বটমের আয় থাকবে ২ কোটি ৩০ থেকে ২ কোটি ৫০ লক্ষের আশেপাশে। শনিবার ও রবিবার ছবির কালেকশন বাড়বে বলেই বিশ্বাস বক্স অফিস বিশেষজ্ঞদের। প্রথম সপ্তাহ (চারদিন) শেষে 'বেল বটম'-এর কালেকশন দাঁড়াবে ১৩ কোটির আশেপাশে জানিয়েছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা।
হিন্দি ছবি বলয়ের অন্যতম রাজ্য মহারাষ্ট্র, অথচ সিনেমা হল বন্ধ থাকায় সেখানেই প্রদর্শিত হচ্ছে না এই ছবি। অন্য রাজ্যেও মাত্র ৫০ শতাংশ দর্শকাসনের টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে। রবিবারের পর সোমবারের অঙ্কই বলে দেবে 'বেল বটম'-এর ভবিষ্যত কী হবে, কিন্তু করোনাকালের এতো প্রতিবন্ধকতার মাঝে এখন পর্যন্ত সফল অক্ষয় কুমার ম্যাজিক।
এই ছবির শ্যুটিং থেকে পোস্ট প্রোডাকশন- সবটাই হয়েছে করোনাকালে। গত বছর স্কটল্যান্ডে বায়োববলে থাকা অবস্থায় এই ছবির শ্যুটিং করেন অক্ষয়, লারা দত্ত,বানি কাপুররা। অক্ষয়ের কথায়, এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও ছবি ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা করে বক্স অফিসে সেটা ১০০ কোটির সমার্থক।
আশির দশকের প্রেক্ষাপটে সাজানো পরিচালক রণজিত এম তিওয়ারির স্পাই থ্রিলার বেল বটম। একজন ‘র’ এডেন্টের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অক্ষয়কে। এই ছবিতে প্রথমবার ফুটে উঠল অক্ষয় কুমার ও বাণী কাপুরের রোম্যান্স। একটি প্লেন হাইজ্যাকিং এবং সেই হাইজ্যাক হওয়া প্লেন থেকে ২১০ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করবার রোমহর্ষক কাহিনি উঠে এসেছে এই ছবিতে। পূজা এন্টারটেনমেন্ট ও এমিনি এন্টারটেনমেন্টের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই ছবি।