ঘোষণা করেও ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অঙ্কুশ।ছবির নাম ‘মৃগয়া: প্রথম অধ্যায়'। টলিপাড়ায় ফিসফাস, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকেই ছিল ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। তবে তার আগেই ছবি থেকে বেরিয়ে গেলেন খোদ নায়ক। আর এই ছবি যে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েই ছাড়লেন সেকথা সোশ্যাল মিডিয়াতে অঙ্কুশের লেখা পোস্টটি চোখে পড়লেই বোঝা যায়।
একাধিক সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশকে বলতে শোনা গেছে ছবিতে অভিনয় করে তিনি উপার্জন করলেও সিনেমা নিয়ে তিনি অত্যন্ত প্যাশনেট। অভিনয় করা এবং সিনেমা বিষয়টিকে ভীষণ পছন্দ করেন তিনি। সেই কথার জের টেনে মৃগয়া ছাড়ার ব্যাপারে এই টলি-নায়ক জানিয়েছেন সিনেমা একটি শিল্প। তা প্যাশন দিয়ে না তৈরি করলে মানুষের মন ছোঁয়া যায় না। সেই জায়গায় সরিয়ে তাঁর মনে হয়েছিল শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের কথা মাথায় রেখেই 'মৃগয়া' তৈরি করার পথে এগোচ্ছে ছবি নির্মাতারা। তাই অন্য উপায় না দেখে এই ছবির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, 'মৃগয়া ' ছবিতে একজন এসটিএফ অফিসার অঞ্জন সেনগুপ্তের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল অঙ্কুশের। টানটান থ্রিলারের সঙ্গে ছবির পরতে পরতে লেগে থাকা অ্যাক্ষনের খোঁজ পেয়ে চিত্রনাট্য শুনেই মজেছিলেন অঙ্কুশ। তবে শেষপর্যন্ত সেসব ভালোলাগাকে নিজের প্যাশনের থেকে বড় করে দেখতে পারেননি অঙ্কুশ। ফেসবুকে লেখা তাঁর নাতিদীর্ঘ পোস্টটিও সেইকথাই ব্যক্ত করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মেদ, কাটা কাটা বাক্যে সোজাসাপ্টাভাবে টলি-অভিনেতা লেখেন,' আমার যে দর্শক ও মিডিয়ার বন্ধুরা ক্রমাগত ‘মৃগয়া’ সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাঁদের জানাতে চাই, আমি এই সিনেমার সঙ্গে আর যুক্ত নই। ‘মৃগয়া’ টিমের সঙ্গে এমন কিছু সমস্যা হয়েছে যার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এমন কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল যে বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানাতে চাইছি না। স্রেফ একজন সিনেমাপ্রেমী ও একজন অভিনেতা হিসেবে এটুকু বলব যে সিনেমা কখনই টাকা তৈরির যন্ত্র হতে পারে না। যদিও এটা সত্যি যে সিনেমার মাধ্যমেই আমরা যায় করি কিন্তু প্যাশন সবার আগে। সিনেমা কখনই শুধুমাত্র টাকা তৈরি করার যন্ত্র নয়!'