উচ্চশিক্ষিত হোক কিংবা স্বল্প শিক্ষিত, বাঙালি মাত্রেই কখনও না কখনও সে শুনেছে রঘু ডাকাতের নাম। বাংলার ইতিহাস হোক কিংবা যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের বিখ্যাত বাংলার ডাকাত নিয়ে বই, রঘু ডাকাতের রোমাঞ্চকর কীর্তির উল্লেখ সর্বত্রই।অস্তিত্বের পাকা প্রমাণ না থাকলেও মানুষের মুখে মুখে প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদে পরিণত হয়েছে রঘু ডাকাত। জনশ্রুতি, হুগলি জেলার মগরায় বাসুদেবপুর গ্রামে ছিল সেই ইংরেজের বুকে ভয় কাঁপানো রঘু ডাকাতের আস্তানা। সেখানেই নাকি একসময় প্রতিষ্ঠিত ছিল এক প্রাচীন কালীমন্দির। নাম তার ডাকাতে কালীমন্দির। ধীরে ধীরে সেই মন্দির 'রঘু ডাকাতের মন্দির' হিসেবে খ্যাতি পায়।
আর রঘু ডাকাত মানেই চোখ কপালে তোলা সব দুর্ধর্ষ দুঃসাহসী গল্প, রোমহর্ষক সব ডাকাতি। যে দিনের বেলায় সভ্যভব্য আর রাতের বেলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডাকাত। নিষ্ঠুর জমিদারদের থেকে যা লুটত তার বেশিওরভাগটাই অকাতরে দু'হাতে দান করত অসহায়, নিঃস্ব মানুষদের। মেয়েদের সম্মানরক্ষা থেকে বয়স্কাদের আশ্রয় সবই করত বাংলার এই ডাকাত। এককথায় সে ছিল বাঙালির 'রবিন হুড'। টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন, আবার একবার বাংলার বুকে নাকি ফিরছে সেই দুঃসাহসী ডাকাত। আর যে সে ব্যক্তি নয়, স্বয়ং দেবের হাত ধরেই নাকি মানুষের সামনে হাজির হবে রঘু ডাকাত!
দেবের হাত শক্ত করার জন্য নাকি এই ব্যাপারে তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন 'গোলন্দাজ' ছবির পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রঘুকে হাজির করার গোটা ব্যাপারটা যেন মসৃণ গতিতে সম্পন্ন হয় তার দেখভাল করবে কলকাতার প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা!
খুলেই বলা যাক গোটা বিষয়টি। এবারের পুজোয় বেশ ভালো ব্যবসা করেছে 'গোলন্দাজ'। সেই ছবির টানেই হলে দর্শক ফিরেছে দলে দলে। ছবি প্রযোজকের মুখেও চওড়া হয়েছে হাসি। আর তাতেই নাকি সাহস পেয়ে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর পরে রঘু ডাকাতকে ফেরাতে চলেছেন 'গোলন্দাজ'-এর পরিচালক-নেয় জুটি। লেখায় বাহুল্য, ছবিতে ‘রঘু ডাকাত’ হয়ে ফিরছেন দেব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কালীপুজোর দিনেই নাকি রঘুর আবির্ভাবের কথা জোর গলায় ঘোষণা করা হবে। তবে এই বিষয়ে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা দেব এখনও পর্যন্ত কেউই কোনও বিবৃতি দেননি।