অনেকেই বলেন তিনিই ‘ইন্ডাস্ট্রি’। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তো সকলেই চেনেন। মা রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথাও অনেকেই জানেন। তবে প্রসেনজিতের কিন্তু ১জন মা নন, তাঁর মায়ের সংখ্যা একাধিক।
অবাক হচ্ছেন তো! তবে কথাটা ভীষণ সত্যি। আর একথা শনিবার নিজের মুখেই জানিয়েছেন প্রসেজিৎ। নাহ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ইরা চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলছি না, এরাঁ প্রসেনজিতের ‘অন্য মা’। এখনও ঠিক বুঝলেন না তো! ভাবছেন এই অন্য মায়েরা আবার কারা?
তাহলে একটু খোলসা করেই বলা যাক…। প্রসেনজিৎ কাজ যখন শুরু করেছিলেন, তখন ছোট্ট বুম্বার বয়স মাত্র ৫। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা' ছবিতে কাজ শুরু করেছিলেন ‘ছোট্ট বুম্বা’। তারপর থেকে কয়েক দশক ধরে একাই ইন্ডাস্ট্রি শাসন করে আসছেন প্রসেনজিৎ। সেই তখন থেকেই অভিনয়ের দৌলতে পর্দায় একাধিক মাকে পেয়েছেন বাংলার এই সুপারস্টার। শনিবার এক বিশেষ ভিডিয়োতে সেই মায়েদের সঙ্গেই আলাপ করিয়েছেন অভিনেতা। ক্যাপশানে লিখেছেন, ‘আমার সব রূপোলী পর্দার মায়েদের আশীর্বাদ নিয়ে আজ আমি অযোগ্য থেকে যোগ্য’।
এদিন সর্বপ্রথম মাধবী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ করান প্রসেনজিৎ। 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা' ছবিতে মাধবীই ছিলেন তাঁর প্রথম পর্দার মা। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘৫ বছর বয়সে আমার যিনি মা, তিনি আজ এখানে, সকলেই তাঁকে চেনেন, নাম বলার প্রয়োজন নেই।’ তাঁর কথাতে মাধবীও তখন হাসছেন। এরপর প্রসেনজিৎ এগোলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার দিকে। 'বুম্বাদা' বললেন, ‘আমার অমর সঙ্গী ছবি, যেখান থেকে আমি আসলেই প্রসেনজিৎ হলাম, ইনি আমার সেই মা’। তারপর গেলে লিলি চক্রবর্তীর দিকে। বললেন, ‘ইনি আমার এই মুহূর্তের মা, ইনি এখন কাঁপাচ্ছে। ওঁর জন্যই হাততালি পড়ছে।’ তারপর প্রসেনজিৎ পৌঁছলেন অনামিকা সাহার কাছে। বললেন, ‘ইনি তো আমার কখনও মা, কখনও শাশুড়ি। কত যে ঝগড়া হয়েছে আমার সঙ্গে…। (হাসতে হাসতে)’।
তারপরই খোঁজ পড়ল সবথেকে ছোট মায়ের। তখনই বুম্বাদার দিকে এগিয়ে গেলেন লাবনী সরকার। প্রসেনজিৎ বললেন, ‘ইনি আমার সবথেকে ছোট মা, মানে আমি শট দিতাম ওকে প্রণাম করতাম। আর শটের পরে ও আমাকে প্রণাম করত।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সকলেই অভিনেতাকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘মায়েরা মা-ই হয়’। কারোর কথায়, ‘কী সুন্দর মুহূর্ত।’ কেউবা বলেছেন, ‘এই মুহূর্তটি অমূল্য’। এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।