দেশের পাশাপাশি রাজ্যতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। প্রতিদিন বেশি করে ভয়াবহ হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। প্রতিনিয়ত দিন বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা। যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার,ওষুধ ও হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার। এহেন পরিস্থিতিতে লাভপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে একটি 'সেফ হোম'-এর ব্যবস্থা করলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। সেখানে রাখা হয়েছে বিনামূল্যে করোনা রুগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্তও। পাশাপাশি পাওয়া যাবে অক্সিজেন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ। লাভপুর বিধানসভার ইন্দাস গ্রাম পঞ্চায়েত-এর চাতরা গ্রামে ১৫ বিঘা জমির ওপর নিজের বাগানবাড়িকেই 'সেফ হোম'-এ রূপান্তরিত করলেন ' কবীর'-এর পরিচালক। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন লাভপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। শুধু তাই নয়, গত রবিবার অনিকেতবাবু এবং অভিজিৎ সিংহের উপস্থিতিতে চাতরা ও তার আশেপাশের ১৫টি গ্রামের অধিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক,স্যানিটাইজার ও প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র। অনিকেতবাবুর এই 'সেফ হোম'-এর উদ্যোগে চাতরা তো বটেই সঙ্গে লাভপুর বিধানসভার দোনাইপুর, কাঁদপুর, হরিশপুর, মাহেশপুর, ফেউগ্রাম, বাঁশপুর, পলাশী সহ বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ ও গরিব মানুষরা এই চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন বিধায়ক।
এত জায়গা থাকতে লাভপুরের চাতরা গ্রামেই কেন 'সেফ হোম'-এ ব্যবস্থা করলেন পরিচালক? জবাবে 'বই বই ব্যাংকক' এর পরিচালক জানিয়েছেন, কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝেই নিজের পরিবার সহ এখানে এসে কাটিয়ে যান তিনি। সেই সূত্রে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে তৈরি হয়েছে আত্মীয়তার যোগসূত্র। চাতরা গ্রামবাসীরা হয়ে উঠেছেন তাঁর প্রতিবেশী। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঠিকমতো করোনা পরিষেবা পৌঁছচ্ছে না। তাই গ্রামের মানুষদের কথা ভেবেই এই নূন্যতম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনিকেতবাবুর কথায়,' এরকম কঠিন সময়ে যতটুকু গ্রামের মানুষদের পাশে থাকা যায়। তাই সেই চেষ্টাটুকুই করেছি আমি।' নিজের বক্তব্যে বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের উদ্দেশে নিজের কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি।