বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Ashwariya Mukherjee: লাগাতার ট্রোলিং,‘আমি আর বাঁচতে চাই না’, ফেসবুক ভিডিয়োয় আত্মহত্যার ইঙ্গিত বাঙালি ইউটিউবারের!

Ashwariya Mukherjee: লাগাতার ট্রোলিং,‘আমি আর বাঁচতে চাই না’, ফেসবুক ভিডিয়োয় আত্মহত্যার ইঙ্গিত বাঙালি ইউটিউবারের!

আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল ঐশ্বর্য

জেফারের বোন ঐশ্বর্যর ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল। ‘বিগ জিরো’, ‘কোনও ট্যালেন্ট নেই'-এই সব শুনে শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সে। আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট ইউটিউবারের। 

গত কয়েকমাসে টলিপাড়া থেকে একের পর এক আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে। গত সপ্তাহেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক অভিনেত্রী। এর মাঝেই ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। নিজের ফেসবুক ও ইউটিউব পেজ থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ঐশ্বর্য মুখোপাধ্যায় ওরফে করিশ্মা মুখোপাধ্যায়। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার শেষ ভিডিও। আমি বাঁচতে চাই না।’

এই ভিডিয়োতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ধরা দেন ঐশ্বর্য, রীতিমতো কান্নাকাটি করতে দেখা যায় তাঁকে। এই পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঐশ্বর্যকে নিয়ে চিন্তায় নেটপাড়া। ঐশ্বর্যর দিদি জেফার এবং জামাইবাবু প্রীতমও জনপ্রিয় ইউটিউবার।

ভিডিয়োতে ঐশ্বর্য জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রোলিং-এর ধাক্কা আর সহ্য হচ্ছে না তাঁর। তাঁকে 'বিগ জিরো' বলা হচ্ছে, তাঁর কোনওরকম ট্যালেন্ট নেই এই সমস্ত কথা বারবার বলা হচ্ছে- এই ধরণের নেতিবাচক মন্তব্যে তাঁর মানসিক স্থিতি ঠিক নেই বলে জানান তিনি। এমনটা জানলে কোনওদিন ইউটিউবার হতেন না, একথাও বলেন ঐশ্বর্য। 

ভিডিয়োতে ঐশ্বর্যকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দেড় বছর ধরে খেটে ভিডিয়ো বানাই। কোনও আর্থিক সাহায্য ছাড়াই। আমি কাউকে ছোট করে উঠিনি। আমার বারবার ফোন আসছে। আমাকে দেখে লোকে হাসছে। আমাকে ঠেস দিয়ে কথা বলছে। আমি যে বিগ জিরো সেটা কমেন্ট বক্সে সবাই ভরিয়ে দিচ্ছে। আমাকে শুনতে হচ্ছে যে, প্রীতম দা আর দিদির জন্য আমি উঠেছি। আমি আর নিতে পারছি না। আমার দোষ কী?শোনার তো একটা লিমিট আছে। আমার তো তাহলে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। আমার দিদি তো ছোট থেকেই আমার দিদি, তাঁকে বা প্রীতমদাকে কী বলব যে না তোমরা আমার ভিডিয়োতে এসো না। কারণ তোমরা জনপ্রিয়। যতদিন কাজ করেছি, নিজের চেষ্টায় করেছি। আমার কনটেন্ট খারাপ বললে আমি মেনে নিতাম। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ কেন?’

ইউটিউবে এক লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে ঐশ্বর্যর। সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এই ভিডিয়ো নয়,তাও স্পষ্ট করে বলেন এই ইউটিউবার। 

এক সংবাদ মাধ‍্যমের তরফে ঐশ্বর্যর দিদি জেফারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ফালতু ব্লগার’ নামে ইউটিউবারদের একটি টিম তাঁকেও ট্রোল করে ভিডিয়ো বানাচ্ছে। তারা নাকি প্রথমে প্রীতম জেফারের সঙ্গেই কাজ করত। কিন্তু মনোমালিন‍্যের কারণে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রীতম আর জেফারের ব‍্যক্তিগত জীবন নিয়ে ট্রোল করছে। তারাই ঐশ্বর্যকেও নিশানা করেছে বলে দাবি জেফারের।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে ঐশ্বর্য ওরফে করিশ্মা জানায়, শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শ মতো থানায় অভিযোগ জানিয়েছে সে। কলকাতা পুলিশ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায় সে। লেখে, 'আমার এই বদনাম এর বিরুদ্ধে সমাজ এবং প্রশাসন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। এবং প্রশাসন আমায় বলেছ এর নিস্পতি (নিষ্পত্তি) হবে।

 

 

 

বন্ধ করুন