বাংলার বিধানসভা ভোট নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে আজীবনের জন্য কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বেলায় কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট নির্বাসিত করবার সঙ্গে সঙ্গেই হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত দু-দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একাধিক অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। বাংলার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা করেছেন, এমনকি বাঙালি জাতিকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তবে সোমবার রাতের টুইট মাইক্রোব্লগিং সাইটের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে, যার জেরেই নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে কঙ্গনার অস্তিত্ব মুছে দিল টুইটার।
সেই টুইটে কঙ্গনা প্রকাশ্যে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে বলপ্রয়োগের কথা জানান। টুইটারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। বহু বলিউড সেলেবও প্রকাশ্যে কঙ্গনা বিরোধী এই সিদ্ধান্তের গুনগান গেয়েছে। পিছিয়ে থাকলেন না তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। তিনি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে লিখলেন- ‘সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া টুইটারের অন্যতম সেরা কাজ’।
টুইটারের এক মুখপাত্র কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি কোনও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। এই অ্যাকাউন্টটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের হেটফুল কনডাক্ট (ঘৃণা ছড়ানো) পলিসি ও অ্যাবিউসিভ বিহেবিয়ার (খারাপ ব্যবহার) পলিসি না মানার জন্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই টুইটারের সব ব্যবহারকারীদের জন্যই এক নিয়ম মেনে চলি আমরা।’
অন্যদিকে পালটা টুইটার কর্তৃপক্ষকে একহাত নিয়ে কঙ্গনা বিস্ফোরক ভিডিয়ো বার্তায় জানান, ‘টুইটার প্রমাণ করে দিয়েছে আমার দৃষ্টিকোণ, ওঁরা আমেরিকান, এবং জন্মগতভাবে শ্বেতাঙ্গারা বিশ্বাস করে বাদামী চমড়ার মানুষ ওদের দাস। ওরা তোমরা কী বলবে বা ভাববে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। সৌভাগ্যবশত আমার কাছে আরও অনান্য মাধ্যম রয়েছে, যেখানে আমি নিজের বাক স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারব, আমার নিজের শিল্প-ভাবনা নিয়ে কথা বলব'।