‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দিয়েই যেন বলিউড সেনসেশন হয়ে গিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। এত সুন্দরী নায়িকাকে দেখেই টপাটপ প্রেমে পড়তে থাকেন পুরুষ ভক্তরা। তবে, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে হঠাৎই একদিন সরে দাঁড়ান তিনি। বিয়ের বহুদিন পর গত বছর থেকে তাঁকে টুকটাক দেখা যাচ্ছে বিনোদন দুনিয়ায়। এই যেমন এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘স্মার্ট জোড়ি’তে। এতদিন কোথায় ছিলেন?
১৯৮৯ সালে সলমন খানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ দিয়াই ভাগ্যশ্রীর বলিউড ডেবিউ। সলমন আর ভাগ্যশ্রীকে একসাথে খুব পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। এরপর স্বামী হিমালয়ের সঙ্গে সুন্দরী নায়িকার দেখা মেলে ‘ক্যায়াদ মে হে বুলবুল’ (১৯৮৯) ও ‘ত্যায়াগী অ্যান্ড পায়েল’ (১৯৯২)-এ।
সম্প্রতি ‘বলিউড লাইফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী জানিয়েছেন, ‘এমন একতটা পরিবারে আমার বিয়ে হয়েছিল, যাদের সঙ্গে সিনেমার কোনও সম্পর্কই নেই। তাই ওরা ওখানকার কিছুই বোঝা না। যেই মুহূর্তে আমি ঘরে পা দিতাম, আমি কিন্তু আর নায়িকা ভাগ্যশ্রী থাকতাম না। আর পাঁচটা হাউজওয়াইফের মতো আমাকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে হত।’ আরও পড়ুন: ‘আমি পালিয়ে বিয়ে করিনি’, চোখের জলে স্মার্ট জোড়ির মঞ্চে ভাগ্যশ্রী, হল মালাবদল
বিয়ের পর ভাগ্যশ্রীকে দেখা গিয়েছে স্বামী হিমালয় দাসানির সাথে কিছু ছবিতে। টুকটাক ছবিও করেছেন, তবে সেভাবে হিট আর পাননি। সলমনের নায়িকার কথায়, ‘আমি আপনাদের বলে রাখি হিমালয় আমায় নিয়ে খুব পজেসিভ। ওকে ছাড়া ছবিতে কাজ করার জন্য খুব সামান্য অপশন আমার হাতে ছিল। আমি সেগুলো নিয়েছিলামও। বলিউডে রোম্যান্স ছাড়া ছবি কই। আর সেই ধরনের ছবিতে আমার কাজ করতে আমায় দেখে ওর খুব একটা ভালো লাগত না। তখনই দরকার পড়ল কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বেছে নেওয়ার। আর আমি আমাদেরকেই বেছে নিয়েছিলাম।’
১৯৯০ সালে বাড়ির অমতে হিমালয় দাসানিকে বিয়ে করেন ভাগ্যশ্রী। তাঁদের দুই সন্তান-- ছেলে অভিমন্যু দাসানি ও মেয়ে অবন্তিকা দাসানি।