হিন্দি ধারাবাহিক ‘রিস্তো কা মাঞ্ঝা’তে অভিনয় করছেন ভরত কল। সেখানে তিনি নায়ক চরিত্রে থাকা ক্রুশল আহুজার বাবা। যদিও বলিউডের প্রোজেক্ট হলেও কলকাতায় বসেই কাজ হচ্ছে। ধুতি, পাঞ্জাবি, উত্তরীয়তে পাক্কা বাঙালিবাবু সেজে শ্যুট করছেন তিনি। সম্প্রতি আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কথা বলতে দেখা গেল বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। এমনকী, বর্তমানে সবচেয়ে বিতর্কিত নাম অভিনেত্রী-তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের হয়েও মুখ খুললেন তিনি।
সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের অংশ তিনি। যা নিয়ে এক অংশের কটাক্ষ কম নয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ভোটের টিকিট তিনিও পেতে চান নাকি? ক্ষমতার আশাতেই কি এভাবে রাজনীতিতে যোগদান। সে প্রসঙ্গে নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভরত জানান, ‘আমার দাদু-বাবা আজীবন কংগ্রেস করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে সরে আসার পর ওই দলের আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। দিদির জন্যই আমি সক্রিয় ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে।’ সঙ্গে যাঁরা তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করা নিয়ে সমালোচনা করছেন তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, বাম-কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোটে তৈরি ‘সমুক্ত মোর্চা’ কি মুখ্যমন্ত্রীর মতো উদার হত কখনও? আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি তাঁর ভাষণে নুসরত জাহানকে নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন সেকথা অবশ্য সকলেই জানেন। একসময় আব্বাস সিদ্দিকিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মুসলিম হয়ে ছবিতে অভিনয় করছেন। ওঁকে বেঁধে মারা উচিত!' সে প্রসঙ্গও টেনে এনে ভরত বলেন, ‘২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে নুসরত এবং তাঁর মতো বাকিরা এই স্বাধীনতা পেতেন?’
যদিও নুসরতের বলা ‘নিখিলের সঙ্গে বিয়ে অবৈধ’ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ভরত। জানিয়েছেন বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই সে নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না। তবে নুসরতের সন্তানের বাবা কে বা নুসরত কার সঙ্গে থাকছেন, সেটা নিয়ে আমজনতার এত মাথাব্যথার সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। বলতে শোনা যায়, ‘নুসরত কার সঙ্গে মিশবেন, থাকবেন, কার সন্তান ধারণ করবেন, সন্তানের পিতৃপরিচয় দেবেন কি দেবেন না-- সম্পূর্ণ ওঁর ব্যাপার। কেন আমি ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে যাব?’