ভারতের কমেডি দুনিয়ায় আজকাল আর আলাদা করে ভারতী সিংয়ের পরিচয় দিতে হয় না। তিনি আজ স্বনামধন্য অভিনেত্রী তথা কমেডিয়ান। কিন্তু চিরকাল তাঁর আজকের মতো পরিস্থিতি ছিল না। অত্যন্ত কষ্ট করে, কঠিন পরিশ্রম করে এবং স্রেফ ট্যালেন্টের জোরে তিনি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন। বর্তমানে তিনি কেবল একজন তারকা নন, বহু মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের কাছে অনুপ্রেরণাও বটে।
ভারতীর ছোটবেলাটা মোটেই আরামে কাটেনি। সম্প্রতি ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কিছু কথা তাঁর মুখে শোনা গেল। তাঁর স্মৃতিচারণে উঠে এল নানা অজানা কথা।
ভারতী বরাবরই ভীষণ স্পষ্ট বক্তা। তিনি কখনই নিজের অতীতকে আড়াল করেননি বা চেষ্টা করেননি। বরং তিনি তাঁর এই সফর নিয়ে ভীষণ গর্ববোধ করেন। সম্প্রতি তিনি একটা সাক্ষাৎকারে জানান তাঁর মা আগে বাথরুম পরিষ্কার করতেন। তাঁরা সকলে লোকের ফেলে দেওয়া খাবার খেয়ে বড় হয়েছেন।
ইটাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান জীবনে তিনি ঠিক কতটা দারিদ্র দেখেছেন। তিনি বলেন তাঁর ভাই বোনরা ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। তাঁর মা কঠিন পরিশ্রম করতেন তাঁদের মানুষ করার জন্য। তিনি জীবনে অনেক দারিদ্র দেখেছেন, আর সেটা দেখতে চান না বলেই জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, 'আমি গিয়ে যে বাচ্চারা বাজি ফাটাত তাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতাম এই আশায় যে আমিও কখনও বাজি ফাটাব। আমার মা যখন লোকের বাড়িতে কাজ করত আমি দরজার বসে থাকতাম। বাথরুম পরিষ্কার করত মা। ফেলে দেওয়া, বেঁচে যাওয়া খাবার নিয়ে আসত মা যে বাড়িতে কাজ করত সেখান দিয়ে। ওদের কাছে খারাপ খাবারটা আমাদের কাছে অমৃত হয়ে উঠত। এভাবে আমাদের দিন কাটত।'
ভারতী জানান তিনি কেন রেগে যান যখন তিনি দেখেন যে কেউ খাবার নষ্ট করছে। একটা সময় এই খাবার পাওয়ার জন্য তাঁরা কত কষ্টই না করেছেন, সেটা কেউ অপচয় করলে তিনি রেগে যান। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি যখন কখনও দেখি কেউ আধ খাওয়া আপেল ফেলে দিচ্ছেন আমার তখন মনে হয় সেই লোকটার খারাপ হোক এভাবে খাবার নষ্ট করার জন্য। কখনও মনে হয় আমি তুলে খেয়ে নিই অন্তত অপচয় তো হবে না।'