'কল মি বে' থেকে 'CTRL', 'খো গেয়ে হাম কাহা'-সহ একাধিক সিরিজ ও সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নজর কেড়েছেন অনন্যা পান্ডে। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নানা ভাবে ট্রোলের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে তা শুরু থেকেই বেশ দক্ষতাঁর সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন নায়িকা। তবে এই ট্রোলিংয়ের প্রভাব কেবল তাঁর উপর নয়, তাঁর পরিবারের উপরও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। আর এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন অনন্যার মা ভাবনা পান্ডে।
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে, মেয়েকে নিয়ে করা ট্রোলিং তাঁকে অভিভাবক হিসাবে কতটা গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। 'উই দ্য উইমেন উইথ বরখা দত্ত'- এ গিয়ে, ভাবনা শেয়ার করেছেন যে তিনি এই কঠিন সময় মোকাবেলা করার জন্য থেরাপিও করিয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় এক বছর থেরাপি নিয়েছিলাম, এটা হয়তো অনেকের কাছেই একটু বেশি সময় বলে মনে হতে পারে। এমনকী আমি এখনও থেরাপি বন্ধ করিনি পুরোপুরি, আমার প্রয়োজন পড়লেই আমি থেরাপি করাতে যাই। যখন আমার মনে হয় যে এটা আমি নিজে থেকে ঠিক করতে পারব না, তখনই থেরাপিস্টের কাছে যাই।’
তিনি আরও জানান যে, অনন্যার ট্রোলিং কীভাবে তাঁর মেয়ের থেকেও বেশি তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। ভাবনা বলেন, 'অনন্যাকে নিয়ে ট্রোলিং করা হলে সেটা ওঁকে যতটা না প্রভাবিত করত, তার থেকেও বেশি প্রভাবিত হতাম আমি। আসলে আমি একজন অতিরিক্ত সংবেদনশীল মানুষ ছিলাম। কিন্তু থেরাপির মাধ্যমে এখন মানসিক ভাবে অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। তবে তাও এটা বলব না যে এখন সবটা আমি একাই সামলে নিতে পারি। কারণ আমি এখনও মাঝে মাঝে থেরাপি নিয়ে থাকি। আমি চাঙ্কির (চাঙ্কি পান্ডে) সঙ্গেও এই নিয়ে অনেক কথা বলি, চাঙ্কি আমার প্রিয় বন্ধু, কিন্তু এক্ষেত্রে আবার কখনও কখনও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়।'
ভাবনা আরও জানান যে তাঁর থেরাপি নেওয়ার জন্য অন্যরা তাঁকে সমর্থন করেন না। কীভাবে তাঁরা ভাবনার উদ্বেগকে গুরুত্ব না দিয়ে, পরিবর্তে তাঁকে বলে যে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই, সেই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘এমনকী আমার নিজের বাবা-মা বলেন যে, ’তুমি কী নিয়ে উদ্বিগ্ন? তোমার কাছে তো সব কিছু আছে।' কিন্তু আমি এখনও থেরাপি নিয়ে থাকি, এবং আমি মনে করি এটা আমার সঠিক সিদ্ধান্ত।'
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে না থেকেও ময়ূরীর জন্য উপহার শ্রেয়ার! ভিডিয়ো কলেই গাইলেন কোন গান?
প্রসঙ্গত, এই ইভেন্টে অনন্যা পান্ডেও তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে হওয়া ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রথম বছরের একটি ঘটনাও শেয়ার করেন। তিনি বলেন, 'কেউ একটি জাল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন, তারপর দাবি করেন যে সে আমার সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন, তিনি জানান যে, আমি নাকি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছি। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, কেউ এটা বিশ্বাস করবে না। তা হয় না, পরিবর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন এটা সত্যিই আমার আত্মবিশ্বাসকে নাড়া দিয়েছিল।'