হাতে আর মাত্র তিনদিন। ১লা নভেম্বর বক্স অফিসে মুক্তি পেতে চলেছে ভুলভুলাইয়া ৩। ফ্রাঞ্চইসির প্রথম দুটো ছবি দুর্দান্ত সফল, এই ছবি থেকেও প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। ছবির বেশকিছু অংশের শ্যুটিং হয়েছে কলকাতায়, পাশাপাশি মঞ্জুলিকা চরিত্রটি বাঙালি, সুতরাং কলকাতা ছাড়া ছবির প্রচরকাজ অসম্পূর্ণ।
সোমবার ঝটিকা সফরে শহরে হাজির কার্তিক ও বিদ্যা বালান। কালো পোশাকে দুজনেরই রংমিলান্তি। বাঙালির ঘরের মেয়েই বলা চলে বিদ্যা বালানকে। কালো সালোয়ার কামিজ, কানে চাঁদ-বালিতে সুন্দরী বিদ্যা। আগের চেয়ে অনেকটা ওজন কমিয়েছেন। লেক-মল লাগোয়া এক রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হয়েছিল সাংবাদিক বৈঠক। হাতে সময় কম, বাংলাতেই বিদ্যা বললেন, ‘চলো শুরু করি’। বিদ্যার দিকে বাংলায় প্রশ্ন ধেয়ে আসতে দিকে অস্বস্তিকে কার্তিক। বললেন, ‘আমার জন্য সবটা ট্রান্সলেট করতে হবে কিন্তু’। শহরে আসার আগে বিদ্যার থেকে অল্প-বিস্তর বাংলাও শিখেছেন, কিন্তু এখনও এই ভাষাটা রপ্ত করতে পারেননি। ‘কেমন আছো?’তেই আটকে থাকলেন তিনি!
বিদ্যা বালান শুধু বাংলা বোঝেন না, বলিউডের পরিণীতা কিন্তু ঝরঝরে বাংলা বলেন। এই শহর তাঁর খুব চেনা। গৌতম হালদারের ‘ভালো থেকো’ ছবি দিয়েই শুরু তাঁর রুপোলি সফর। বলিউডেও প্রথম ছবিতে শরৎচন্দ্রের পরিণীতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিদ্যার কেরিয়ারের ‘কাহানি’র তার জুড়ে কলকাতার সঙ্গে। মাস দুয়েক আগের আর জি করের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁকেও। বললেন, ‘দুঃখ পেয়েছিলাম। আমার কেরিয়ারের শুরু থেকে এই শহর জড়িয়ে রয়েছে। কলকাতা প্রতিবাদের শহর। মায়ের শহরে এই রকম একটা ঘটনা কী ভাবে হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না।’
এই ছবিতে একঝাঁক বাঙালি কলাকুশলী রয়েছেন। দেখা মিলবে কাঞ্চন মল্লিকেরও। টলিপাড়ার এই দুঁদে অভিনেতার কমিক টাইমিং নজর এড়ায়নি কার্তিকের। বললেন, সংলাপ না থাকলেও শুধু চোখের ভাষাতেই কামাল করেছেন কাঞ্চন। কার্তিকের কথায়, ‘খুব ভালো লেগেছে কাজ করে। আমাদের অনেক গল্প শোনাতেন। খুব জ্ঞানী মানুষ, অত্যন্ত গুণী মানুষ এবং শক্তিশালী অভিনেতা। খুব বেশি দৃশ্য নেই আমাদের, যে ক’টা ছিল বেশ বড় দৃশ্য ছিল। খুব মজা পেয়েছি। অনেক দৃশ্য়ে সংলাপ ছিল না, কিন্তু চোখ দিয়েই অভিনয় করেছেন। যে কোনও দৃশ্যে প্রাণসঞ্চার করতে পারেন কাঞ্চন মল্লিক’।
এই ছবিতে আমি যে তোমার গানে বিদ্যা-মাধুরীর যুগলবন্দিতে ফিদা গোটা দেশ। তবে মাধুরীর মতো ডান্স আইকনের সঙ্গে নাচতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে বিদ্যা বালানের। বললেন, ‘মাধুরী ম্যাম-এর সঙ্গে নাচতে হবে বলে শুরু থেকেই ভয়ে ছিলাম। ওঁনার তো প্রত্যেকটা মুদ্রাতেই ডান্স রয়েছে। আমি কী করব! ভাবছিলাম কী করে করব? নিজের তরফ থেকে পরিশ্রম করেছি, সেরাটা দিয়েছি। এই গানট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, সবটাই মঞ্জুলিকার আর্শীবাদ'।
ভুলভুলাইয়া ২-তে তাবু, তৃতীয় পর্বে একসঙ্গে মাধুরী আর বিদ্যা! সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মঞ্জুলিকা কে? সাংবাদিকের প্রশ্নের ফাঁদে পা দিলেন না রুহ বাবা। বললেন, ‘সকলে দুর্দান্ত। আমি কোনও তুলনায় যাব না। সবাই ভীষণ ভয়ঙ্কর, সবার সঙ্গে কাজ করে ভালো লেগেছে। তিনজনেই লেজেন্ড'।