ভুবন বাম ইউটিউবে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে জীবন শুরু করেন। এরপর ধিন্ডোরা এবং তাজা খবরের মতো শো তে অভিনেতা হিসাবে কাজ করার পর থেকেই কেরিয়ারে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। সম্প্রতি, তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের কাছ থেকে তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন। পরিচালক তাঁর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইনফ্লুয়েনসারর অভিনয় করতে পারে না, এই বিশ্বাসের ব্যতিক্রম হলেন ভুবন বাম। দেব-ডি এর পরিচালকের তরফ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়ার পর ভুবন জানান, ‘আমি কখনই ভাবিনি যে এটি জীবনে এতো তাড়াতাড়ি আসবে। খুব সুন্দর অনুভুতি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: (৮০-তে পা দীপঙ্করের, টিটোর জন্মদিনে পায়েস রাঁধলেন দোলন, স্বামীর চেয়ে বয়সে কত ছোট অভিনেত্রী?)
৩০ বছর বয়সী এই ইউটিউবার আরও বলেছেন যে, কোথাও গিয়ে তিনি এই প্রশংসা আশা করেছিলেন। ‘আমার চ্যানেলে একটি পুড়নো ভ্লগ রয়েছে যেখানে আমি বলেছি যে যদি আমি জীবনে দু'জন লোকের প্রশংসা পাই তবে আমার জীবন পূর্ণ হবে, এবং সেই ব্যক্তিদের একজন হলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এক বার বোল দিয়া থা তো চালা গয়া হোগা ইউনিভার্স মে। যদিও আমায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে এই পর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে এই কথা শোনা বেশ উত্সাহজনক’।
অনুরাগের সঙ্গে তিনিও একমত যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে এই কুসংস্কার বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘এই অনুমানগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে এবং আমি এর জন্য কাউকে দোষ দিই না কারণ এর আগে কেউ এমন পরিবর্তন দেখেনি। একটা লাইন আছে কি ইস তরফ ওয়ালে (অভিনেতারা) অ্যাক্টিং কার সক্তে হ্যায়, উস তরফ ওয়ালে (ইনফ্লুয়েন্সর) নাহি কার সক্তে। এবার এই ধারনাগুলি বদলানোর সময় এসেছে। শিল্পের মাধ্যমে প্রত্যেককে খুশি করা কঠিন এবং আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিচার অন্যরকম হতে থাকে। একেকজন মানুষ একেকরকম ভাবে আপনাকে গ্রহণ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: (‘আবারও প্রেমে পড়তে হলে…’, বিচ্ছেদের বছর গড়াল, আর কী ভালোবাসায় ভরসা আছে জিতুর?)
আপনাকে তাঁদের মন পরিবর্তন করতে হবে এবং নিজেকে প্রমাণ করবো এই উদ্দেশ্য নিয়েই সবসময় থাকতে হবে।’ ভুবনের মতে, ট্যাগ এবং লেবেলিং সর্বদা থাকবে। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি যখন কেউ নিজেদেরকে ভুল প্রমাণ করে আর তাঁদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে। এর চেয়ে মিষ্টি আমার কাছে কিছুই নেই।’ বাম বর্তমান সমাজে অনলাইন জগতের শক্তি এখন কতোটা বেশি সেটি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আসলে আমার মতে গোটা বিশ্ব চালায়। বর্তমান সময়ে দু-তিন ঘণ্টা এই সোশ্যাল মিডিয়া ডাউন থাকলে চারিদিকে হাহাকার পড়ে যায়। এটি কেবল প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকে চালিত করছে না, আমার মতো অনেক লোক রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক আশা এবং তাঁদের কেরিয়ার পেয়েছেন।’ তিনি কনটেন্টের ডুপলিসিটি নিয়েও কথা বলেন।
আরও পড়ুন: (বিরাট-অনুষ্কার আলাপের ২ বছর আগে অদ্ভুত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই ব্যক্তি, জানেন কী বলেছিলেন?)
‘এটি একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে যেখানে আমরা এটির জন্যই আমরা আমাদের সাদা-কালো জীবনে রঙ খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যাতে আমরা দেখাতে পারি যে আমাদের জীবন আলাদা।’