‘প্রথমেই সবাইকে অনুরোধ করব ‘বিবাহবার্ষিকী’ দেখার জন্য। পরিচালনা অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ডিওপি সৌভিক বসু। প্রোডিউস করেছে আর্টেজ ফিল্মস। জি-বাংলা এবং জি-ফাইভ-এ দেখা যাবে এই ছবিটি।আমার চরিত্রের নাম কলি। কলকাতার বাইরের মেয়ে কলি। সে একজন সাধারন মেয়ে। খুব ছোট ছোট জিনিসে সে খুশি হয়। সিম্পল মানসিকতা মেয়েটির। আর রূপম (অদ্রিত) একদম অন্য মানসিকতার।মাস ছয়েক আগে এক ইয়ং বিবাহিত কাপলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার মাত্র কিছু সময় আগে কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ কারণে তাঁরা দেখা করতে বাধ্য হয়েছিল। এবং তারপরই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলত এক সপ্তাহ মতো সেই দম্পতি একসঙ্গে কাটায়। গল্পটা তাঁদের কাটানো এই এক সপ্তাহের। এক সপ্তাহে সম্পর্কটা কোনদিকে যাচ্ছে? দু'জনে কাছাকাছি আসার ফলে আবার কি সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে? নাকি অন্য কিছু ঘটতে চলছে?
আজকাল আমরা আকছার দেখতে পাই কলেজে পড়তে পড়তে প্রেম হয় দু'জনের, পাশ করতেই ভালো চাকরি, কেরিয়ারও বেশ সফলতার দিকেই দৌড়োতে থাকে। ভালো করে একে অপরকে বোঝার আগেই তাঁরা খুব অল্প বয়সে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের বিয়েটা সেরে ফেলেন। এদিকে বছর ঘুরতেই শুরু হয় সমস্যা। নিজেদের চাওয়া পাওয়া, ভালো মন্দর মধ্যে বেশির ভাগটাই অমিল। জটিলতা বাড়ে। অবশেষে ভেঙে যায় সম্পর্ক। সত্যিই কি এতটা কমপ্লিকেটেড আমাদের জীবন? বিশ্বাস, ভরসা,ভালোবাসা কোনওটাই যেন নিটোল নয়! ডিভোর্সই একমাত্র সমাধান? এই নিয়েই আমাদের আজকের গল্প ‘বিবাহবার্ষিকী’।
আমি কলি চরিত্র করে খুব মজা পেয়েছি। এর আগেও বিবাহিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু এই চরিত্রটা একদম অন্যরকম। আমাদের ঝগড়া, অভিমান, প্রেম ইত্যদি নিয়ে বেশ অন্যরকম একটা গল্প বলা।
৭৫ মিনিটের সিনেমা। অভিমন্যু দা (মুখোপাধ্যায়) খুব ভালো পরিচালনা করেছেন। ছবিতে আমার সঙ্গে আদ্রিতের এটা প্রথম কাজ। আগে একটা বিজ্ঞাপনে অবশ্য আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। অদ্রিত খুব পরিশ্রমী এবং ভালো অভিনেতা। খুব অল্প সময়ে পুরো কাজটা সারতে হয়েছে। সবার ওপর যথেষ্ট চাপ ছিল। টিম ওয়ার্কটা অসাধারণ ছিল।
অভিমন্যুদার টিমের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। তাই বন্ডিংটা আগে থেকেই মজবুত ছিল। খুব ভালো অভিজ্ঞতা। তবে ফ্লোরে একটুও আড্ডা বা মজা এই সব করার সুযোগ পাইনি, কারণ টাইম খুব কম পেয়েছিলাম এই ফিল্মটার শুটিংয়ের জন্য। অভিদা খুব শান্ত এবং ঠাণ্ডা মাথার মানুষ বলেই এত অল্প সময়ে পুরো ছবিটা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে’।