প্রথম থেকেই একটু ভিন্ন ধারার চরিত্র নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন টলিউডে মাচো অ্যাক্টর রণজয় বিষ্ণু। টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও পায়ের তলার জমি পোক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন রণজয়। ইতিমধ্যে বলিউডে নির্মিত ‘মুলায়াম সিং যাদব’-এর বায়োপিকে তাঁর ফার্স্ট লুক প্রকাশ পেয়েছে । সেখানে রণজয় এক দৃঢ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে অভিনয় করছেন। বিধান-এ তাঁর চরিত্র একজন সমকামীর। সমকামী সম্বন্ধে সাধারণত যে ধারণা আমরা পোষণ করি তা সম্পূর্ণ বদলে দিতেই এই ছবি। রইল ট্রেলার।
রণজয়ের কথায়
‘ আমার করা প্রথম হিন্দি ছবি ‘বিধান’। ছবিটি এখনো অব্দি কুড়িটার কাছাকাছি ফেস্টিভালে গিয়েছে এবং সিলেক্টে হয়েছে। আমরা প্রায় ছ'টা বেস্ট ফিল্মের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। অপেক্ষায় রয়েছি স্পেনের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে আমার নাম বেস্ট অ্যাক্টরের তালিকায় রয়েছে, যদি অ্যাওয়ার্ড পাই তাহলে তো তা সত্যিই আনন্দের! দেখা যাক। এটি একটি প্যারালাল সিনেমা যা খুব শিগগিরই ওটিটি প্লাটফর্মে আসবে। ছবিটির ডিরেক্টর মনোজ রাই এবং মনোজিৎ মিত্র।
দুটি ছেলের কথা এবং আমাদের সমাজের তথাকথিত কিছু ভুলভাল মানসিকতার বিরুদ্ধে একটা ইতিবাচক লড়াইয়ের সুন্দর ছবি ‘বিধান’। আমাদের এখানে যেমন ধরেই নেওয়া হয় কোনও ছেলে যদি গে বা সমকামী হয় তাহলে সে মহিলা সুলভ আচরণ করবে এবং ওই ভাবে কথা বলবে, ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। তা কিন্তু একেবারেই নয়। এই ছবিতে এই সমাজের ভুল দর্শণ ও ভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। আমি এখানে বলতে পারো একটু ফেমিনিন পার্ট প্লে করছি। কিন্তু ছেলেটি খুবই স্টাউট বাকি অন্যান্য ছেলেদের মতো। এই ছবিতে ছেলেটি একটি কোম্পানির সিইও। শুধুমাত্র তাঁর সেক্সচুয়াল ওরিয়েন্টেশনটা হচ্ছে পুরুষকেন্দ্রিক। একদিন এই ছেলেটি একজন প্রস্টিটিউট কে বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসে, এবং তারপরই একে অপরের প্রেমে পড়ে এবং তার মূল মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। দুজনেই হিন্দি ভাষার প্রতি আসক্ত। সেই নিয়েই তাঁদের একে অপরকে ভালো লাগার শুরু। এরপর হঠাৎ একদিন সেই প্রস্টিটিউট এই ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় । তার পরে আবার ১০ বছর পর দেখা হয় দু'জনের। এখান থকেই শুরু টুইস্টের। কাহিনি কোন ম্যাচুরিটির পর্যায় পৌঁছোয় সেটা জানতে গেলে দেখতে গেলে দেখতে হবে ‘বিধান’। এরকম একটা সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে বার্তা নিয়ে ছবি বলেই আমি এতটা এক্সাইটেড।’