ধর্মতলায় অনশনের ১৭তম দিন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। প্রথম দিন থেকেই আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন বিদিপ্তা চক্রবর্তী। চিকিৎসকদের সমর্থনে একদিনের প্রতীকি অনশনও করেছেন বিদিপ্তা। এদিন তাঁর ফেসবুকের দেওয়ালে উঠে এল ভালোবাসার এক টুকরো ছবি। আরও পড়ুন-বিদিপ্তা-চৈতিরা কেন অনশন করছেন? আপত্তি মুখ্য সচিবের! ‘মেরুদণ্ড সোজা রেখে…’, কড়া জবাব কিঞ্জলদের
অনশন মঞ্চে ভালোবাসার মানুষ শক্ত করে ধরে রয়েছেন অর্ণবের হাত। এসএসকেএমের নেফ্রো বিভাগের প্রথম বর্ষের পিডিটি পড়ুয়া অর্ণব। ৫ই অক্টোবর থেকে অনশনে এই জুনিয়র ডাক্তার। অনশনের ১৭তম দিনে তাঁর ভালোবাসার মানুষ শক্ত করে ধরে রয়েছে অর্ণবের হাত। শরীর ভাঙলেও, মনোবল ভাঙেনি। বিচার চেয়ে অনশনে অনড় সে।
বিদিপ্তার শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেল, অর্ণবের কাঁধে মাথা এলিয়ে রয়েছে তাঁর মনের মানুষ ঊর্মি। দুজনের মুখেই হালকা হাসির ঝলক। অন্য ছবিতে ঊর্মি মুঠোফোনে বন্দি করছেন অর্ণবকে।
ছবির ক্যাপশনে বিদিপ্তা লিখেছেন, ‘অনেক ভালবাসা নিও বুয়া (অর্ণব) আর ঊর্মি। ছবিটা ইন্টারনেট থেকেই পেলাম। এই কদিনে কতটা কাছের হয়ে গেছ তোমরা বুঝতেই পারিনি। তোমাদের ভালবাসা এভাবেই ছড়িয়ে থাক লড়াইয়ের ময়দান থেকে শুরু করে সর্বত্র।’
বিদিপ্তার এই পোস্টে মন্তব্যের বানভাসি। স্নিগ্ধা-দেবাশিসের পর অর্ণব-ঊর্মির এই ভালোবাসার ছবিতেও উপচে পড়েছে ভালোবাসা। বিদিপ্তার মনের মানুষ, স্বামী বিরসা দাশগুপ্ত স্ত্রীর পোস্টে ‘ছোট্ট কারেকশন’ করেছেন। লিখেছেন, ‘এই কদিনে আবার নতুন করে’।
এই পোস্টে অধিকাংশই অর্ণব-ঊর্মিকে ভালোবাসা জানালেও কটাক্ষও ধেয়ে এসেছে। এক জনৈক বিদিপ্তার পোস্টে লেখেন, ‘ওটা কি প্রেম করার জায়গা?’ সেই ট্রোলারকে উপযুক্ত জবাব দেন অন্যরা। একজন লেখেন, ‘কিছু মানুষের আবার এসব নিয়েও সমস্যা উল্টো পাল্টা লিখেছে। বলছে অনশনে নয় প্রেমের প্রমোশনে আছে। মানে অনশন করলে প্রেম করা যাবে না? আরেকজন বললেন,'সেটাই!! অভয়ার বিচার চাইতে গিয়ে এরকম প্রেম করতে পারবে না, সেটা তো কোথাও লেখা নেই!! অনশন মঞ্চ টা ভালো কাজেই ব্যবহার হচ্ছে!!'
আরও পড়ুন-‘হাতটা আমার স্কার্টের তলা দিয়ে…’, পাশে বাবা, জুতো বিক্রেতার হাতে হেনস্থার শিকার বিদিপ্তা!
এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বিদিপ্তা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘এদের কে চেনেন নিশ্চয়ই ? বিশ্বাস করুন, গত ১৪ দিন, জল ছাড়া কিচ্ছু খায়নি। বই পড়ছে। গান শুনছে। বসে রয়েছে সুদিনের দিকে তাকিয়ে, বসে রয়েছে অভয়ার ন্যায়বিচারের জন্যে, বসে রয়েছে আমার-আপনার একটা উপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যে। আমরা কি কিছু করতে পারলাম ওদের জন্যে? উলটে, ওদের মনোবল ভাঙার জন্যে সব করেছি। এখনো করছি। তাই না? এখনো মুখপাত্ররা ডিনার করার পর মুখ খুললেই ওদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। লজ্জা হয়? তাই বলি কি, মানুষের ডাকে যদি মানুষ না আসে,অমানুষ বলিয়া তাকে ডাকো ভীমনাদে।’