১৭ জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে ‘বিগ বস ১৬’-এর বিজয়ী এমসি স্ট্যান। পুনের বাসিন্দা এমসি স্ট্যান হলেন একজন স্ট্রিট র্যাপার। ১২ বছর বয়সে সঙ্গীতের যাত্রা শুরু করেন। সেই সময় তিনি কাওয়ালি গাইতেন। প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যখন তারঁ গান ‘ওয়াটা’ এবং ‘খুজা মাত’ সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শো জেতার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় চর্চায় এই স্ট্রিট র্যাপার। অনেকেই তাঁর জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রোল করতেও ছাড়েননি একাংশ নেটিজেন। অনেকেরই মন্তব্য, এই খেতব জয়ের তিনি অযোগ্য। যদিও এ বিষয় ‘বিগ বস ১৬’-এর বিজয়ী এমসি স্ট্যানের সাফ মন্তব্য, তিনি ট্রোলারদের গুরুত্ব দেন না। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি আসলে এমন লোকদের পছন্দ করি যারা ঈর্ষান্বিত হয়। এটি একজন মানুষের খুব স্বাভাবিক আবেগ’।
‘বিগ বস ১৬’-এর বিজয়ীর মতে, ‘অধিকাংশ ভক্তদের মতো আমিও হতবাক, কিন্তু আমি মনে করি আমি জেতার যোগ্য’। শো-এর হোস্ট সলমন খান ট্রফি তুলে দেন র্যাপার এমসি স্ট্যান ওরফে আলতাফ শেখের হাতে। আসলে নাম ঘোষণার পর র্যাপার এমসি স্ট্যান নাকি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি সিজনের বিজয়ী। আরও পড়ুন: মণীশ ম্যাজিক, রিসেপশনের গাউন এবং জুয়েলারিতে অপ্সরা কিয়ারা, দেখুন BTS ছবি
১৭ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে এবারের বিগ বস সিজন ১৬ শুরু হয়েছিল। সকলকে পিছনে ফেলে গ্র্যান্ড ফিনালেতে সেরা ৫ পৌঁছান। রবিবার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সঞ্চালনার দায়িত্বে সলমন ছাড়াও ছিলেন ভারতী সিং এবং কৃষ্ণা অভিষেক। দ্বিতীয় স্থানে রইলেন শিব ঠাকরে, এবং তৃতীয় স্থানে রইলেন প্রিয়াঙ্কা চাহার চৌধুরি। শুধু ট্রফি নয়, প্রায় ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার ঘরে নিয়ে গেলেন এই র্যাপার। এ ছাড়াও পেয়েছেন একটি গাড়ি।
প্রথম থেকেই প্রাণ দিয়ে খেলেছেন হায়দরাবাদের এই র্যাপার। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, কখনও আবার বেরিয়ে যেতে চেয়েছেন বিগ বসের ঘর থেকে। জয়ের পর এই র্যাপার ইটাইমসকে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে উঠতে পারছিলাম না সলমন স্যার (সলমন খান) রসিকতা করছেন নাকি আমি সত্যিই জিতেছি। এমনকি তিনি আমার নাম ঘোষণা করার পরেও, আমি তখনও ভাবছিলাম এটা সত্যি কিনা। কিন্তু যখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন তখনও আমি গলে যাই। আশ্চর্যজনক অনুভূতি ছিল এবং আমার পক্ষে ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব’।