সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু পর প্রায় ২৫ দিন অতিক্রান্ত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থামছে না। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে পারছেন না সুশান্ত ভক্তরা,সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছে,অন্যদিকে মুম্বই পুলিশ সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সুশান্তের মৃত্যুর তিনদিনের মাথায় বিহারের মুজফফরপুরে সিজিএম আদালতে করণ জোহর,সলমন খান, একতা কাপুর, সঞ্জয় লীলা বনশালিসহ আট বলিউড ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী। সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ,১০৯,৫০৪,৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে সেই মামলা খারিজ করে দিল বিহারের সিজিএম আদালত।
মুজাফ্ফরপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মুকেশ কুমার জানান 'এই বিষয়টি আদালতের আইনগত অধিকারের বাইরে'।
আইনজীবীর তাঁর অভিযোগের প্রতিলিপিতে জানিয়েছিলেন, সুশান্তকে সাতটি ছবি থেকে চক্রান্ত করে বার করে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু ছবি মুক্তি পায়নি। এই পরিস্থিতি ও ওকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে'। নিজের পিটিশনে সাক্ষী হিসাবে কঙ্গনা রানাওয়াতের নামও উল্লেখ করেছিলেন ওঝা। যিনি সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম দাবি করেন, ‘ছিছোড়ে’ হিট হওয়ার পর সুশান্ত সিং রাজপুত ৭টি ছবি সাইন করেছিল, কিন্তু ছয় মাসে ওর হাত থেকে এক এক করে প্রতিটা ছবি বেরিয়ে যায়।
সিজিএম আদালতে মামলা খারিজ করলেও জেলা আদালতে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবেন সুধীর কুমার ওঝা,সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।