হালে ওটিটি মাধ্যমের পর্দায় জনপ্রিয় হয়েছে ‘খাকি’ নামক সিরিজ। এক সৎ আইপিএস অফিসার কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন এবং দমন করছেন, সেটির নিয়েই এই সিরিজ। এবং এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বাস্তবেরও। কারণ এটি তৈরি হয়েছে আইপিএস অফিসার অমিত লোধার জীবনের কাহিনি নিয়েই। কিন্তু এহেন সৎ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই এবার উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।
আমিতের বই ‘বিহার ডায়েরিজ’ নিয়েই তৈরি হয়েছে এই সিরিজটি। এই সিরিজে মগধ পর্বের কথাও উল্লেখ আছে। অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মগধের দায়িত্বে থাকাকালীনই তিনি নাকি বেআইনি পথে অর্থ নিয়েছেন। এবং সেই টাকাই তিনি ব্যবহার করেছেন ওয়েবসিরিজটি তৈরির ক্ষেত্রে।
সম্প্রতি Special Vigilance Unit বা SVU-এর তরফে অমিতের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি বেআইনি পথে টাকা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই টাকা কীভাবে সাদা করা যায়, তার জন্য ষড়যন্ত্রও করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে লেখা রয়েছে, ‘অমিত লোধা কোনও পেশাদার লেখক নন। তিনি নিজের অপরাধমূলক কাজ ঢাকা দেওয়ার জন্য ‘বিহার ডায়েরিজ’নামক বই লিখেছেন। এর পাশাপাশি বেআইনি পথে রোজগার এবং সেটি আড়াল করার জন্য তিনি এই বইটি ব্যবহার করেছেন। আর ‘খাকি: দ্য বিহার চ্যাপটার’ও সেই একই উদ্দেশ্যেই বানানো।’
অভিযোগ করা হয়েছে অমিতের স্ত্রী কৌমিদি লোধার বিরুদ্ধেও। বলা হয়েছে, কৌমিদির সঙ্গেও ওই প্রোডাকশন হাউজের চুক্তি হয়েছে। এবং তাঁর মারফতও কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলেছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, চুক্তি সই হওয়ার আগেই কৌমিদির অ্যাকাউন্টে ১১.২৫ লক্ষ টাকা ঢুকে পড়ে। বিপুল পরিমাণে এবং নিয়মিত টাকার লেনদেন হত তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। অমিতের কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যেই এমন কাজ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
Special Vigilance Unit-এর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, অমিত একজন সরকারি চাকুরিজীবী। প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত ৪৯ লক্ষেরও বেশি টাকা রোজগার করেছেন। এটি কোনও ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না। এমনটিও দাবি করা হয়েছে, এর পরে সন্ধান চালালে আরও প্রচুর বেআইনি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। এবং সেই সব তথ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রকাশ্যে আনা হবে।