অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু বড় আঘাত এনেছে দর্শকদের মনে। সাথে যে বিতর্ককে উসকে দিয়ে গিয়েছে তা হল সত্যি কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর হাত ছিল ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে। অভিষেকের মৃত্যুর পর তাঁকে ‘বন্ধু’ বলে ডেকেছেন প্রসেনজিৎ। ঋতুপর্ণা চোখের জলে জানিয়েছেন, ‘মানুষটা অনেক ক্ষোভ নিয়ে চলে গেল’। সত্যি কি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এই নিয়ে।
শুক্রবারই এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন টলিউডের প্রযোজক রানা সরকার, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তাঁরা নাম না করেই তোপ দেগেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে, যাঁরা বেঁচে থাকতে কোনও খোঁজই নেয়নি, কিন্তু মারা যাওয়ার পর ‘ন্যাকা কান্না’ কেঁদেছে। এবার অভিষেকের হয়ে মুখ খুললেন আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
বিপ্লব জানান, একসাথে তাঁরা বহু ছবিতে একসময় কাজ করেছিলেন। বিপ্লব নিজের স্মৃতিচারণে জানান সকলকে নিয়ে হইহই করতে বড় পছন্দ করত অভিষোক। তাঁরা আউটডোরে গিয়ে যেভাবে মজা করতেন, সেই ব্যাপারেও কথা বলতে শোনা যায় অভিনেতাকে। তারপরই জানান, বড় পরদা থেকে সরে আসা একটা বড় আঘাত ছিল অভিষেকের মনে। বলেন, ‘ছোট পর্দায় কাজ করা নিয়ে ওর মনে একপ্রকার ক্ষোভ রয়ে গিয়েছিল। সেই কারনেই অভিষেক গুমরেও থাকত মনে মনে। হয়ত এক বুক অভিমান নিয়েই তিনি আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।’
সঙ্গে বিপ্লব জানান, তিনি বরাবর অভিষেককে বলতেন নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে, শরীরের যত্ন নিতে। কিন্তু অভিষেক কারও কথাতেই পাত্তা দিতেন না। প্রসঙ্গত, বুধবার, মারা যাওয়ার দিনও অসুস্থ শরীর নিয়ে ‘ইস্মার্ট ডোড়ি’র সেটে গিয়েছিলেন অভিষেক। তারপর সেখানে আরও শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি এসে বমি করলে স্যালাইন চলে, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। পরে রাত ১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।