Birsa-Bidipta: 'হাম দো হামারে দো'! দুই মেয়েকে নিয়ে বোট রাইডে, মেঘলার কোলে মাথা বিদীপ্তার, ছোটর গালে গাল ঘষে আদর বিরসার

একসময়ে বয়সে অনেকটা বড় বিদিপ্তাকে বিয়ে করেছিলেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। ২০১০ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বিরসা-বিদীপ্তা। তবে তাঁদের প্রেম ও সুখের সংসারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বয়স। দুই মেয়েকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য বিরসা-বিদিপ্তার। সম্প্রতি স্বামী-সন্তান নিয়ে কোনও এক সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছেন বিদিপ্তা। তারই একটুকরো ঝলক উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।বিরসা ও বিদিপ্তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে তাঁদের ৪জনকে একসঙ্গে বোট রাইডে যেতে দেখা যাচ্ছে। জল কেটে এগিয়ে চলেছে নৌকাটি আর সেখানে বসে হাসিখুশি ধরা পড়েছেন বিরসা-বিদীপ্তা মেঘলা ও ইদারাকে। বড়মেয়ে মেঘলাকে মা বিদীপ্তার পাশে ও ইদারাকে বিরসার পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। মেঘলার কাঁধে মাথা রাখতে দেখা গেল বিদীপ্তাকে। আর ইদাকে আদর করে তার গালে গাল ঘষে দিতে দেখা গেল বাবা বিরসা দাশগুপ্তকে। সুন্দর এই মুহূর্তের ভিডিয়ো পোস্ট করে বিরসা-বিদীপ্তা লিখেছেন, 'হাম দো হামারে দো'। যদিও মেঘলা দাশগুপ্ত বিরসার নিজের সন্তান নন, তিনি বিদীপ্তার প্রথম পক্ষের সন্তান। বিদীপ্তা যখন বিরসাকে বিয়ে করেন তখন মেঘলা ছিলেন অনেকটাই ছোট। প্রসঙ্গত বিরসা-বিদিপ্তার বিয়ের বিয়ের ছবিতেও দেখা গেলে ছোট্ট মেঘলার। জানা যায়, দূরদর্শনে কাজ করতে গিয়ে বিরসার মা চৈতালির সঙ্গে আলাপ ছিল বিদিশার। আলাপ ছিল বিরসার বাবা রাজা-র সঙ্গেও। বেশকিছুদিন আগে নিবেদিতা অনলাইনকে ৬ বছরের ছোট বিরসার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া নিয়ে বিদিপ্তা জানিয়েছিলেন, ‘বিরসা-রিভুকে ছোট বয়সে দেখেছি। হয়ত কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে দিয়েছি। ’ শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠেই নাকি তাঁদের প্রেমের শুরুটা হয়েছিল। বিদিপ্তার কথায়, ‘সে সময় বিরসারও সবে সবে একটা প্রেম ভেঙেছে। আমারই এক বান্ধবীর সঙ্গে ওর প্রেম ছিল। ওরও মন খারাপ, আমিও বিবাহিত জীবন নিয়ে সমস্যায়। কেয়া পিসি (চৈতালি, বিদিপ্তার শাশুড়ি) তো বলে সেই যে তোরা হাত ধরে গল্প করতে করতে কোথায় পৌষমেলার মাঠে হারিয়ে গেলি….।’তবে বিরসার থেকে বিদিপ্তা ৬ বছরের বড় হলেও তাঁদের রোম্যান্স ও প্রেমেও বয়স এখনও পর্যন্ত কোনও বাধা হয়ে উঠতেই পারেনি। দুই মেয়েকে নিয়ে সুখী পরিবার তাঁদের, মেঘলাকেও নিজের সন্তানের মতো করেই দেখেন বিরসা।