দুর্গাষ্টমীর দিনই ৮২তম জন্মদিন পালন করলেন অমিতাভ বচ্চন। মেগাস্টার শত ব্যস্ততার মধ্যেও এদিন ভক্তদের সঙ্গে বিনিময়ের ঐতিহ্য অটুট রাখলেন। তাঁর এক ঝলকের জন্য এবং প্রিয় তারকার জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে শুক্রবার সকাল থেকেই জলসার বাইরে ছিল ভক্তদের ঢল।
শুক্রবার অমিতাভের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছিলেন বহু ভক্ত। কারুর হাতে পোস্টার, কারুর হাতে ফুল…. বিগ বি তাঁর ভক্তদের নিরাশ করেননি।
তিনি হাত জোড় করে বিশাল জনতাকে অভ্যর্থনা জানাতে জলসার বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং দু-হাত বাড়িয়ে সেই শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অমিতাভ তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ভোর থেকেই তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ভক্তরা। সাদা কুর্তা পাজামা এবং শালে সেজেছিলেন বার্থ ডে বয়।
দিনের শুরুতে অমিতাভ বচ্চন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন যে সবচেয়ে বিশেষ জন্মদিনের উপহারটি এসেছে সূদূর পোল্যান্ড থেকে। এই মিউজিক্যাল ট্রিবিউটে পোলিশ সুন্দরীরা ভায়োলেন বাজিয়ে হরিবংশ রাই বচ্চনের মধুশালার সুর বাজাচ্ছিল।
ভিডিওটি শেয়ার করে অমিতাভ লিখেছেন, ‘জন্ম দিবস.. আমার কাছে আসা সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় উপহারটি পোল্যান্ডের রক্লো শহর থেকে এসেছে ’। এদিন মেয়ে শ্বেতাকে নিয়ে মুখার্জিদের দুর্গাপুজোয় অংশ নেন জয়া। দেখা মেলেনি পুত্র অভিষেকের। আশ্চর্যজনকভাবে দিন গড়ালেও এখনও পর্যন্ত বাবাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাননি অভিষেক।
১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর এলাহাবাদে (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) জন্মগ্রহণ করেন অমিতাভ। তিনি হরিবংশ রাই বচ্চন এবং তেজি বচ্চনের পুত্র। দিন কয়েক আগে কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেটে অমিতাভের জন্মদিন স্পেশ্যাল পর্বে ফাঁস হয়, জন্মের আগেই নাকি তাঁর বাবা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের ছেলেই হবে। এবং ছেলের রূপে আমি আমার বাবাকে ফিরে পাব’। ১৯৭৩ সালে জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান শ্বেতা বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন।
অমিতাভকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বলিউডের ‘অ্যাংরি ইয়াংম্যান’-এর ফিল্মোগ্রাফিতে অনেকগুলি ব্লকবাস্টার যুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি তাকে রজনীকান্তের সঙ্গে ভেট্টাইয়ান ছবিতে দেখা গেছে। এর আগে কল্কি ২৮৯৮ তে 'অশ্বত্থামার ভূমিকায়' নজর কেড়েছেন ৮২ বছর বয়সী এই তরুণ তুর্কি। আজও প্রবল প্রাণশক্তিতে বলীয়ান এই তারকা, যিনি রুপোলি পর্দয় জান-প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেন। তাই তো প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে ‘শাহেনশা’র গ্রহণযোগ্যতা ফিকে হয়নি।